যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির কোচ জেরার্দো মার্তিনোর মতে, তাদের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখছে লিওনেল মেসির অধিনায়কত্ব।
Published : 11 Aug 2023, 05:10 PM
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ খরা ঘুচিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে একই কাজই করছেন ফুটবলের এই মহাতারকা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির কোচ জেরার্দো মার্তিনোর মতে, তাদের ধারাবাহিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখছে মেসির অধিনায়কত্ব।
সৌদি আরবের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হার দিয়ে শুরু হয় আর্জেন্টিনার ২০২২ সালের বিশ্বকাপ। কিন্তু এরপর তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক জয়ে শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় সোনালী ট্রফিটি। অবসান ঘটায় ৩৬ বছরের অপেক্ষার।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে চমৎকার পারফরম্যান্সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মেসি। আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ গোল করেন তিনি। জেতেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার গোল্ডেন বল।
পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষে গত জুলাইয়ে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। সেখানে নতুন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগেই পান নেতৃত্বভার। তবে দায়িত্বে থিতু হতে সময় নেননি মেসি। তার অধিনায়কত্বে এখন দুর্বার গতিতে ছুটছে মায়ামি।
লিগস কাপে টানা চার জয়ে এখন কোয়ার্টার-ফাইনালে দলটি। সেখানে নিজেদের মাঠ ড্রাইভ পিঙ্ক স্টেডিয়ামে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে) তাদের প্রতিপক্ষ শার্লট এফসি। ম্যাচটির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মার্তিনো বলেন, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মেসি আর মায়ামির মেসির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পান না তিনি।
“আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে আমরা তাকে যা করতে দেখেছি, এখানে (মায়ামি) তার চেয়ে বেশি বা কম করছে না সে। মাঠ ও মাঠের বাইরে লিওর নেতৃত্ব চোখে পড়ার মতো। বিশ্বকাপে সে যা করেছে, আমি সেটা নিয়ে ভাবছি, কারণ যে ধরনের অধিনায়ক হয়ে উঠেছে সে, তার প্রতিফলন এটি।”
লিগস কাপে মায়ামির সাফল্যে নেতৃত্বের পাশাপাশি পারফরম্যান্সেও মেসি রাখছেন বড় অবদান। দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৭ গোল করেছেন তিনি। যেখানে ফ্রি-কিকে দুটি গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
মেসিকে বার্সেলোনায় স্বল্প সময়ের জন্য এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে দুই বছর কোচিং করিয়েছেন মার্তিনো। তার মতে, বিশ্বকাপে ও মায়ামিতে ৩৬ বছর বয়সী মেসির নেতৃত্বে বিবর্তন ঘটেছে।
“ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে যখন সে কেবল ফুটবলের দিক থেকে নেতৃত্ব দিত, তার থেকে এখন বিষয়টি পুরোপুরি ভিন্ন। এখন সব সময়ের মতো কেবল মাঠে প্রভাব ফেলছে না, অনুশীলনে, দলের তরুণদের সঙ্গে কথোপকথনে, এমনকি কীভাবে দলের কোনো পরিকল্পনা কার্যকর করতে হয় সেখানে ভূমিকা রাখছে।”
“সে এখানে পা রেখে বলেছিল, ‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ও জিততে এসেছি।’ আমার মনে হয়, ডালাসের বিপক্ষে চতুর্থ গোলটি সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। সে গোলটি উদযাপন করছিল, একই সঙ্গে বলছিল, ‘দ্রুত বলটি নিয়ে নাও, আমরা পঞ্চম গোল করতে পারি কিনা দেখি।’”
ডালাসের বিপক্ষে যে গোলটির কথা বলেছেন মার্তিনো, সেটি ছিল মেসির ট্রেডমার্ক ফ্রি কিক থেকে। লিগস কাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে শেষ সময়ের ওই গোলে ৪-৪ সমতা ফেরায় মায়ামি। পরে ম্যাচটি টাইব্রেকারে জিতে নেয় তারা। ওই ম্যাচে শুরুতে দারুণ আরেকটি গোলে দলকে এগিয়ে নেন মেসি।
এ ছাড়া ওরলান্ডো সিটি, আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুটি করে গোল করেন মেসি। মার্তিনোর মতে, মেসির মানের ফুটবলারের জন্যও এভাবে ধারাবাহিকভাবে গোল করে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়।