সকালে জিম সেশন, বিকেলে ট্রেনিং-এই ছকে চলা প্রস্তুতিতে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাঝমাঠ। রক্ষণ থেকে পাওয়া বল মাঝমাঠে ধরে রেখে আক্রমণভাগে জোগান দেওয়ার ছকটা জামাল-সোহেলদের বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
আগামী ২২ মার্চ থেকে সিলেটে ব্রুনাই দারুস সালাম ও সিশেলসের সঙ্গে তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ। জুনে আছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। মূলত এই দুই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে সৌদি আরবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
বুধবার দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতি নিয়ে বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানিয়েছেন বিস্তারিত। সেখানে ঘুরেফিরে এসেছে মিডফিল্ড নিয়ে কোচের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা।
“গতকাল প্রথম পুরো দল একসাথে অনুশীলন করেছি। আমাদের যে গেম মডেল আছে মাঝমাঠ নিয়ে, সেটাকে প্রাধান্য দিয়েছি। মাঝমাঠের অনেকগুলো কাজ হয়েছে। কীভাবে খেলোয়াড়রা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে, তাদের মধ্যে বনিবনা হবে, এ কাজগুলো হয়েছে।”
“ভিডিও অ্যানালাইসিসির মাধ্যমে সেন্টার ব্যাক থেকে মাঝমাঠ, সেখানে বল ধরে রাখা, এরপর আক্রমণভাগে বলের যোগান দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা নিয়ে কাজ হয়েছে। আজকেও সেই আক্রমণের প্যাটার্ন নিয়ে কাজ হয়েছে। আমাদের মূল মনোযোগ সাফ নিয়ে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে। সামনে আমাদের তিন জাতি টুর্নামেন্টও আছে, তবে সাফে মূল মনোযোগ রেখে আমরা কাজ করছি।”
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া মিডফিল্ডার আলমগীর মোল্লার বিশ্বাস সৌদি আরবের অনুশীলন তিন জাতি সিরিজে কাজে দেবে।
“এই প্রথম আমি জাতীয় দলে ঢুকেছি। এর আগে ২০১৭-১৮-তে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সৌদি আরবে এসে আমরা কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছি, দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলব, যেটা আমাদের তিন জাতি সিরিজে কাজে দিবে। সেখানে ভালো খেলার চেষ্টা করব। সকালে জিম সেশন, বিকালে ট্রেনিং সেশন হয়। সেরাটা দেওয়ার জন্য আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”