ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে লিগ টেবিলে দুইয়ে নেমে গেছে আর্সেনাল।
Published : 05 Apr 2024, 02:32 AM
প্রতিপক্ষের ভুলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় সমতা টানল শেফিল্ড ইউনাইটেড। সম্ভাবনা জাগল নাটকীয়তার। কিন্তু কোথায় কী! শেষ আধা ঘণ্টায় প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দিল না ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরল ‘অল রেড’ খ্যাত দলটি।
অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। দারউইন নুনেসের গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পর তাদের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে। এরপর আলেক্সিস মাক আলিস্তের নৈপুণ্যে শিরোপাপ্রত্যাশীরা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান কোডি হাকপো।
আগের দিন লুটন টাউনকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছিল আর্সেনাল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদেরকে দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিল লিভারপুল।
৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও ৭ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭০। আর ২১ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৮। সমান ম্যাচে ২০ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রথম মিনিটেই লিভারপুলের রক্ষণে হানা দেয় তলানির দল শেফিল্ড। জেমস ম্যাকাটির শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক। ওই কর্নারেও হতে পারতো গোল, দূরের পোস্টে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বেন দিয়াসের প্রচেষ্টা।
এরপর শুরু হয় লিভারপুলের টানা আক্রমণ। খুব ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে তারা।
সপ্তদশ মিনিটে শেফিল্ড গোলরক্ষক ইভো গিরবিচের হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। প্রতিপক্ষের কোনো তখন চাপই ছিল না, তারপরও দারউইন নুনেসকে এগিয়ে আসতে দেখে একটু তাড়াহুড়ো করেই শট নেন গিরবিচ; বল সামনে লাফিয়ে ওঠা নুনেসের পায়ে লেগে চলে যায় জালে। পেছনে ছুটেও নাগাল পাননি গোলরক্ষক।
৩৪তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় লিভারপুল। তবে আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১০ মিনিট পর দারুণ এক সেভ করে ব্যবধান বাড়তে দেননি গিরবিচ। দমিনিক সোবোসলাইয়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে আরও তিনবার গোলের প্রচেষ্টা চালায় লিভারপুল, যদিও কোনোবারই তারা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে সেভাবে ভাবাতে পারেনি। এরপরই ৫৭তম মিনিটে কনর ব্র্যাডলির ওই আত্মঘাতী গোল।
অবশ্য লিভারপুলের তরুণ এই ডিফেন্ডারের সেখানে খুব একটা দায় ছিল না। ডি-বক্সে শেফিল্ড মিডফিল্ডারের হেড লক্ষ্যে ছিল না; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বল ব্র্যাডলির পায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়।
আচমকা গোল হজমের পর লিড পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ করে ৭৬তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় তারা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে দলকে ফের এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার মাক আলিস্তের।
৮৫তম মিনিটে আরেকটি চমৎকার গোল পেতে পারতেন মাক আলিস্তের। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে; বিশ্বকাপজয়ী তারকা দারুণ ফ্রি কিক ক্রসবারে বাধা পায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে সব অনিশ্চয়তা একরকম ইতি টেনে দেন হাকপো। বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে বক্সে দারুণ এক ক্রস বাড়ান অ্যান্ডি রবার্টসন আর নিখুঁত হেডে গোলটি করেন ডাচ ফরোয়ার্ড।