সাফ চ্যালেঞ্জিং হবে, বললেন কাবরেরা

লেবানন ও কুয়েতের মতো দল থাকায় এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2023, 01:58 PM
Updated : 13 May 2023, 01:58 PM

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে লেবানন ৯৯তম, কুয়েত ১৪৩তম। এই দুই দল এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে অতিথি দল হিসেবে। দল দুটির কারণে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন হয়ে গেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে সোমবার ৩৫ জনের প্রাথমিক দল দিয়েছেন কাবরেরা। মাঠের প্রস্তুতি শুরুর কথা আগামী ৪ জুন থেকে। এরপর ১৫ জুন সাফের প্রস্তুতি হিসেবে কম্বোডিয়ায় গিয়ে তাদের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

সেই ২০০৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে নিজেদের প্রথম এবং সবশেষ শিরোপা উৎসবের আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পরের আসরে হয়েছিল রানার্সআপ। এরপর আর ফাইনালের মঞ্চে ওঠা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

এবার লেবানন ও কুয়েত যোগ হওয়ায় বাংলাদেশের চলার পথটা কঠিন হয়ে পড়েছে আরও। কাবরেরা তাই এখনই দেখাচ্ছেন না বড় স্বপ্ন। বাস্তবতা মেনে ধাপে-ধাপে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনা এই স্প্যানিশ কোচের।

“আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করা এবং জেতা। সেমি-ফাইনালে উঠতে পারাটা আমার মনে হয় আমাদের জন্য ভালো লক্ষ্য হবে এবং এরপর আমরা পরের ধাপ নিয়ে ভাবব। লেবানন এবং কুয়েত খেলায় সাফ আমাদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে।”

“র‌্যাঙ্কিংয়ে লেবানন ৯৯তম, কুয়েত ১৪৩তম। নিশ্চিত করেই চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু বিষয়গুলো এরকমই, তবে সবার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে আমাদের। গত সাফেও চ্যালেঞ্জ ছিল, এবার আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি, সেফি-ফাইনাল খেলার ফিফটি-ফিফটি সুযোগ আমাদের আছে।”

প্রাথমিক দলে নতুন মুখ হিসেবে মোহামেডানের ডিফেন্ডার মুরাদ হাসান ও ফর্টিস একাডেমির ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলামকে রেখেছেন কাবরেরা। ৪ জুন থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়ার আগেই দল ২৭ জনে নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।

চূড়ান্ত দল, কিংবা নতুনদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি খোলাসা করতে রাজি হননি কাবরেরা। যারা সুযোগ পাবে, তারা মাঠের লড়াইয়ে সেরাটা নিংড়ে দিবে-এই আশাবাদ অবশ্য জানিয়েছেন তিনি।

“এটা (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) বাংলাদেশ, সমর্থক, ফেডারেশন এবং বিশেষ করে দল- সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকে আমি অনুভব করেছি, ছেলেরা এই প্রতিযোগিতায় খেলতে সবসময় মুখিয়ে থাকে।”

“এই দলটাকে সাফের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে এবং সেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি। নিজেদের কাজটুকু আমরা করতে এবং নিজেদের পর্যায়ের পারফরম্যান্স করতে পারব বলে আশাবাদী।”