মিলানকে হারিয়ে ইন্টারের ‘প্রথম’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রইল ইন্টার মিলান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2023, 08:58 PM
Updated : 10 May 2023, 08:58 PM

প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য করল ইন্টার মিলান। প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে তারা জালের দেখা পেল দুইবার। বিরতির পর এসি মিলান খানিকটা লড়াই করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রইল সিমোনে ইনজাগির দল।

সান সিরোয় বুধবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইন্টারের জয় ২-০ গোলে। এদিন জেকো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান হেনরিখ মিখিতারিয়ান।

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পাঁচবারের দেখায় এই প্রথম মিলানকে হারাতে পারল ইন্টার। আগের চার দেখায় দুবার জিতেছিল মিলান, অন্য দুটি ড্র হয়েছিল।

গোলের জন্য ম্যাচের প্রথম দুটি শটেই সাফল্য পায় ইন্টার। অষ্টম মিনিটে সতীর্থের কর্নারে ছয় গজ বক্সের বাইরে বাঁ পায়ের চমৎকার ভলিতে প্রথম গোলটি করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জেকো।

দ্বিতীয় বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে গোল করলেন তিনি (৩৭ বছর ৫৪ দিন)। ২০১০-১১ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে শালকের বিপক্ষে ৩৭ বছর ১৪৮ দিন বয়সে গোল করেছিলেন রায়ান গিগস।

প্রথম গোলের রেশ না কাটতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৪ বছর বয়সী মিখিতারিয়ান। বাঁ দিক থেকে ফেদেরিকো দিমারকো পাস দেন বক্সের বাইরে। প্রথম স্পর্শে বল ধরে ভেতরে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের সাবেক মিডফিল্ডার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের ম্যাচে প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের লিড নেওয়া চতুর্থ দল ইন্টার। এর আগে ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইউভেন্তুস, ২০০৯ সালে আর্সেনালর বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ২০২২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটি এই কীর্তি গড়েছিল।

আরেকটি কীর্তিও গড়ল ইন্টার। তারা প্রথম দল, যাদের ৩৪ বা এর বেশি বয়সী দুজন খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ম্যাচে জালের দেখা পেলেন।

পঞ্চদশ মিনিটে স্কোরলাইন হতে পারত ৩-০। হাকান কালহানোগলুর শট পোস্টে লাগে। পরক্ষণে নিকোলো বারেল্লার শট ফিরিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ।

৩১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস মিলানের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পাশাপাশি মিলানের ডিফেন্ডার সিমোন কেয়াকে দেখান হলুদ কার্ড। তবে ভিএআরে মনিটরে রিপ্লে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই পাল্টান তিনি।

দারুণ ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড রাফায়েল লেয়াওকে এই ম্যাচে চোটের কারণে পায়নি মিলান। এর প্রভাব দেখা যায় মাঠেও। প্রথমার্ধে গোলের জন্য পাঁচটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। এই সময়ে ইন্টারের ১১ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা অবশ্য ভালো করে মিলান। ৫০তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ব্রাহিম দিয়াসের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় তারা, শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুনিয়র মেসিয়াস।

খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর বড় সুযোগ আসে ইন্টারের সামনে। জেকোর সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে পা দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিয়াঁ।

৬৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি মিলান। অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে সান্দ্রো তনালির শট পোস্টে লাগে। একেবারে শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু তোমাসো পবেগা শট মারেন গোলরক্ষক বরাবর।

একই মাঠে আগামী মঙ্গলবার হবে ফিরতি লেগ, সেটি হবে ইন্টারের ‘হোম ম্যাচ’।