এবারের প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার প্রথম ১০ দলের মধ্যে সবচেয়ে কম গোল করেছে এরিক টেন হাগের দল।
Published : 13 Apr 2024, 04:01 PM
চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে যে বের হতে পারছে না, তার মূল কারণগুলোর একটি হলো প্রতিপক্ষের গোলমুখে আক্রমণভাগের ছন্দহীনতা। অধিকাংশ ম্যাচেই গোলের জন্য ভুগতে হয় তাদের। সমস্যার সমাধানে আগামী মৌসুমের আগেই দলে নতুন একজন স্ট্রাইকার যোগ করতে চান কোচ এরিক টেন হাগ।
এই মৌসুমের শুরুতে অবশ্য টেন হাগ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছিলেন, তার আক্রমণভাগে যেসব খেলোয়াড় আছে নিয়মিত গোল পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট। তবে, বাস্তবে তার দেখা মেলেনি।
প্রিমিয়ার লিগে আর সাত রাউন্ড বাকি থাকতে পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রথম ১০ দলের মধ্যে সর্বনিম্ন গোল করেছে ইউনাইটেড, মাত্র ৪৫টি।
লিগে পরের ম্যাচে শনিবার বোর্নমাউথের মাঠে খেলবে ইউনাইটেড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায়। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টেন হাগকে প্রশ্ন করা হয়, আসছে গ্রীষ্মে দলে একজন পরীক্ষিত গোলস্কোরার যোগ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। উত্তেরে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটা সাহায্য করবে।”
এই ডাচ কোচ সবসময়ই চান, স্কোয়াডে একটি পজিশনের জন্য একাধিক শক্ত দাবিদার থাকুক। সেই কথা বললেন আবারও।
“দলে বেশি বিকল্প থাকা দরকার। প্রতিটি পজিশনের জন্য অন্তত দুজন খেলোয়াড় দরকার।”
“কিন্তু, চলতি মৌসুমে কিছু কিছু পজিশনে আমাদের হাতে সেই বিকল্প ছিল না- স্ট্রাইকার পজিশনে, লেফট-ব্যাক পজিশনে- আর এটাই আমাদের ফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”
গত অগাস্টে আতালান্তা থেকে ডেনমার্কের দারুণ সম্ভাবনাময় ফরোয়ার্ড গাসমুস হয়লুনকে সাত কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে দলে টানে ইউনাইটেড। নতুন ঠিকানায় প্রথম কয়েক মাসে কিছুটা ভুগলেও, তা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অভিষেক মৌসুমেই এখন পর্যন্ত দলটির সর্বোচ্চ গোল করেছেন ২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়; ৩৪ ম্যাচে ১৩টি।
ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড ৩৮ ম্যাচ খেলে করেছেন আট গোল, আর জানুয়ারিতে কুঁচকির অস্ত্রোপচারের পর থেকে বাইরে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ড অঁতনি মার্সিয়াল ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র দুটি গোল।
এই দুই খেলোয়াড়ের অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর বিশ্বাস রেখে তাদের থেকে এই মৌসুমেও যথেষ্ট গোল আশা করেছিলেন কোচ। কিন্তু বাস্তবে তার দেখা মেলেনি। সেই হতাশা ফুটে উঠল টেন হাগের কথায়।
“র্যাশফোর্ডের থেকে গোল আশা করাই যায়- গত মৌসুমে সে ৩০ গোল করেছিল। মার্সিয়ালের থেকেও আপনি গোল আশা করবেন- এখানে আমার প্রথম মৌসুমে সে ভালো খেলেছিল এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতেও সে দারুণ প্রভাব রেখেছিল।”
“এরপর আমরা গাসমুস হয়লুনের মতো একজন গোলস্কোরারকে নিয়ে আসলাম, সব মিলিয়ে যথেষ্ট গোল হতে পারতো।”
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য শীর্ষ চারে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে ইউনাইটেডের। ৩১ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে তারা।
ইউনাইটেডের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চার নম্বরে টটেনহ্যাম হটস্পার। তাদের সমান ৬০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পাঁচে অ্যাস্টন ভিলা, দলটি অবশ্য এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।