উয়েফা বর্ষসেরার লড়াইয়ে মেসি-ডে ব্রুইনে-হলান্ড

আগামী ৩১ অগাস্ট বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হবে।

কেভিন ডে ব্রুইনে, লিওনেল মেসি (মাঝে) ও আর্লিং হলান্ড।  ছবি: উয়েফা 

উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে শীর্ষ তিনে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি, কেভিন ডে ব্রুইনে ও আর্লিং হলান্ড।

২০২২-২৩ মৌসুমের বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত এই তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফা।

পুরো মৌসুমে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে পারফরম্যান্সের বিচারে পুরস্কারটি দেওয়া হয়ে থাকে।

গত মৌসুমটা জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে দারুণ সাফল্যমণ্ডিত ছিল মেসির। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই কাতার বিশ্বকাপ জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে জোড়া গোলসহ করেন মোট ৭ গোল। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ‘গোল্ডেন বল।’ গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি।

পিএসজির জার্সিতে নিজের সেরা ছন্দে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতেন মেসি। প্যারিসের দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মেসি ৭ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান চারটি।

সবশেষ মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয় করে ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাবটির ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপ জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ডে ব্রুইনে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০টি গোল ও ৩১টি অ্যাসিস্ট করেন এই বেলজিয়ান। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো এক মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট (১৬টি) করেন ৩২ বছর বয়সী ডে ব্রুইনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে গোল করেন দুটি, আর গোল করান ৭টি।

ডে ব্রুইনের ক্লাব সতীর্থ হলান্ডের জন্য মৌসুমটা ছিল স্বপ্নময়৷ গত গ্রীষ্মে সিটিতে যোগ দিয়ে ইংলিশ ফুটবলে ঝড় তোলেন এই স্ট্রাইকার। লিগে ৩৭ ম্যাচে জালের দেখা পান ৩৬ বার। ভেঙে দেন ৩৮ ম্যাচের লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। সতীর্থদের দিয়ে ৮টি গোলও করান নরওয়ের এই তারকা।

সিটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথচলায়ও ভালো অবদান ছিল হলান্ডের। ১১ ম্যাচে গোল করেন ১২টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ও দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫ গোল এখন এই ২৩ বছর বয়সীর।

বর্ষসেরা কোচের তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গুয়ার্দিওলা, ইন্টার মিলানের সিমোনে ইনজাগি ও নাপোলির লুসিয়ানো স্পাল্লেত্তি।

গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ‘ট্রেবল’ জয়ের কীর্তি গড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম দল হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিল তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

গত মৌসুমে ইন্টার মিলানকে ইতালিয়ান কাপ ও ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জেতান ইনজাগি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তারা হেরে যায় ম্যানচেস্টার সিটির কাছে।

স্পাল্লেত্তির হাত ধরে গত মৌসুমে তিন দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষায় ফুরোয় নাপোলির। ৩৩ বছর পর সেরি আ জয়ের স্বাদ পায় নেপলসের দলটি।

আগামী ৩১ অগাস্ট মোনাকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।