৫৩ ম্যাচে ১ হার, ২ ট্রফি জয়, ‘অবিশ্বাস্য’ মৌসুম কাটানোর উচ্ছ্বাস আলোন্সোর

মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত খেলে বুন্ডেসলিগা ও জার্মান কাপের ডাবল জয়কে অনেক বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন বায়ার লেভারকুজেন কোচ।

শুরুতে লক্ষ্য ছিল ভালো একটি মৌসুম কাটানো। তবে এই মৌসুমে বায়ার লেভারকুজেন যা করেছে, সেটিকে অবিশ্বাস্য বললেও হয়তো যথেষ্ট নয়। দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় ম্যাচের পর ম্যাচ অপরাজিত থাকা, ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার বুন্ডেসলিগা জয়, প্রায় চার দশক পর ইউরোপা লিগের ফাইনালে ওঠা, তিন দশক পর জার্মান কাপ জয়- স্বপ্নের মতো একটা মৌসুম কেটেছে তাদের। প্রথমবার ঘরোয়া ‘ডাবল’ জিতে ভীষণ খুশি লেভারকুজেন কোচ শাবি আলোন্সো। খেলোয়াড়রা দলের প্রতি আস্থা রেখেছিল বলেই এমন সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

জার্মান কাপ জিতে এবারের মৌসুম শেষ করেছে লেভারকুজেন। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ফাইনালে দ্বিতীয় স্তরের দল কাইজারস্লটার্নের বিপক্ষে অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও ১-০ গোলের জয়ে শিরোপা উল্লাস করে তারা।

এই প্রতিযোগিতায় এটি লেভারকুজেনের দ্বিতীয় শিরোপা। প্রথমটি জিতেছিল সেই ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে।

বায়ার্ন মিউনিখের টানা ১১ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে, প্রথম দল হিসেবে গোটা আসরে অপরাজিত থেকে এবার বুন্ডেসলিগা শিরোপা জেতে লেভারকুজেন।

১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের পর প্রথমবার তারা জায়গা করে নেয় ইউরোপা লিগের (আগে যা ছিল উয়েফা কাপ) ফাইনালে। গত সপ্তাহে ওই ফাইনালে অবশ্য আতালান্তার কাছে হেরে যায় তারা ৩-০ গোলে। এতে ছেদ পড়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাদের ইউরোপিয়ান রেকর্ড ৫১ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায়।

ওই হতাশা পেছনে ফেলে মৌসুমের শেষটা রাঙাল তারা জার্মান কাপ জিতে। ক্লাবের আগের ১১৯ বছরের ইতিহাসে স্রেফ দুটি বড় শিরোপা জিততে পেরেছিল লেভারকুজেন। আলোন্সোর হাত ধরে এই মৌসুমেই তারা উঁচিয়ে ধরল দুটি ট্রফি।

২০২৩-২৪ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচ খেলে লেভারকুজেন জেতে ৪৩টি, ড্র ৯টি ও হার একটি। এই সময়ে তারা গোল করে ১৪৪টি, হজম করে ৪২টি। জাল অক্ষত রাখে ২৪ ম্যাচে।

এমন সাফল্যে গর্বিত আলোন্সো। তবে জার্মান কাপের ফাইনালের পর এই স্প্যানিশ কোচের সরল স্বীকারোক্তি- মৌসুমের শুরুতেও এত বড় আশা তাদের ছিল না।

“পুরো যাত্রা এবং মৌসুমটা ছিল দুর্দান্ত। এই মৌসুমে আমরা যা কিছু করেছি, তা অবিশ্বাস্য। দল নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। ডাবল জয় অনেক বড় সাফল্য। ভবিষ্যতে সবসময় আমরা এই সাফল্য মনে রাখব।”

“জুলাইয়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি ভালো মৌসুম কাটানো। আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার ছিল, তবে তিন-চারটি ম্যাচের পর আমি আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম। যা কিছু হয়েছে, এত বড় আশা হয়তো ছিল না। ৫৩টি ম্যাচ খেলা এবং স্রেফ একটি হার, অবিশ্বাস্য।”