রেফারিদের সমালোচনায় ভিনিসিউস

সঠিকভাবে নিয়মের প্রয়োগ করছে না অফিসিয়ালরা, অভিযোগ রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের।

রিয়াল মাদ্রিদের প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভিনিসিউস জুনিয়রকে বারংবার ফাউলের শিকার হতে দেখা যায়। সবশেষ এস্পানিওল ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে এবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। রেফারিদের সমালোচনা করে বললেন, আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না।

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার লা লিগার ম্যাচে এস্পানিওলের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। মাঠ ছাড়ে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে। ২২তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে সমতাসূচক গোলে দলকে পথ দেখান ভিনিসিউস।

অন্য সব ম্যাচের মতো এদিনও তাকে অনেকবার ফাউল করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে কেবল একবারই তার প্রতিপক্ষকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে ১৩৮ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন ভিনিসিউস। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগ মিলিয়ে সব খেলোয়াড়দের মধ্যে যা কমপক্ষে ৩৪টি বেশি।

এস্পানিওল ম্যাচে ভিনিসিউস নিজেও একবার পান হলুদ কার্ড; মৌসুমে এটি তার দ্বাদশ। ইএসপিএনে পরে তিনি প্রশ্ন তোলেন রেফারিদের দায়িত্ব পালন নিয়ে।

“রেফারি ফাউল দেয় না, কার্ডও দেখায় না। প্রতিপক্ষ আমাকে ১৫বার ফাউল করছে, আর ম্যাচের যখন ৮৮ মিনিট চলছে তখন রেফারি হলুদ কার্ড দেখাচ্ছে। খেলোয়াড়দের আমাকে থামানোর উপায় ভাবতে হবে, কিন্তু ফাউল করার মাধ্যমে তাদের জন্য কাজটি খুবই সহজ হয়ে যাচ্ছে।”

“খেলোয়াড়দের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার প্রশ্ন রেফারিদের নিয়ে, কারণ তাদের সঠিকভাবে নিয়মের প্রয়োগ করতে হবে। আমাকে সুরক্ষা দিতে কাউকে বলছি না। আমার সতীর্থ, বাবা-মা এবং যারা আমাকে পছন্দ করে তারা ছাড়া কেউই জীবনে আমাকে সাহায্য করেনি।”

এস্পানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের বাকি দুই গোল করেন এদের মিলিতাও ও মার্কো আসেনসিও।

এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ৬ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে রিয়াল। ২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।