ইংলিশ ফুটবল
Published : 12 Apr 2025, 10:31 PM
অনেক আগেই শেষ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের আসরে সুযোগ পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় আছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে আশা ছাড়ছেন না ইংলিশ ক্লাবটিতে নিজের শেষ মৌসুম কাটানো কেভিন ডে ব্রুইনে। সিটিকে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার পরের আসরে রেখে বিদায় নিতে চান তারকা এই মিডফিল্ডার।
কদিন আগে ডে ব্রুইনে জানিয়ে দেন, চলতি মৌসুম শেষে সিটির জার্সিতে আর দেখা যাবে না তাকে। ২০১৫ সালে ভলফসবুর্ক থেকে সিটিতে যোগ দিয়ে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। ক্লাবটির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা এবং ভুরি ভুরি সাফল্য অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখাদের একজন ডে ব্রুইনে।
চলতি মৌসুমে দলের মতো ডে ব্রুইনের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। চোটের ছোবল ও ছন্দহীনতায় ভুগছেন তিনি। ছন্দে ফেরার আভাস শনিবার দেন বেলজিয়ামের এই ফুটবলার। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে দলের প্রথম গোলটি করেন তিনি।
শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলে জেতে সিটি। তাতে লিগ টেবিলে এক লাফে দুই ধাপ এগিয়ে যায় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ৩২ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আছে তারা। তাতে উজ্জ্বল হয়েছে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের আসরে খেলার সম্ভাবনা।
সাধারণত লিগের শীর্ষ চার দল ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার টিকেট পেলেও, গত বুধবার এবারের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে, উয়েফার ‘অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব কোএফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিং’এ ইংল্যান্ডের শীর্ষ দুইয়ে থাকা। আর এর ফলেই, আগামী মৌসুম চারটি নয়, প্রিমিয়ার লিগ থেকে টেবিলের প্রথম পাঁচ দল সরাসরি খেলবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে।
প্যালেসের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর সিটির অধ্যায় কীভাবে শেষ করতে চান, বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে জানান ৩৩ বছর বয়সী ডে ব্রুইনে।
“এই দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেখেই চলে যেতে চাই আমি, কারণ এটা তাদের প্রাপ্য। আমরা নয়-দশ বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছি, যতদিন আমি এখানে আছি। তাই আশা করি, আগামী বছরও দলকে সেখানে নিয়ে যেতে পারব আমরা। আর আমি সবসময় যেভাবে খেলেছি সেভাবে ভালো ফুটবল খেলার চেষ্টা করব।”
প্যালেস ম্যাচে সিটির পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের ভাবনাও তুলে ধরেন ডে ব্রুইনে। তার মতে, শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও সামগ্রিকভাবে ভালো খেলেছে দল।
“আমার মনে হয়, শুরুটা ভালো করেছিলাম আমরা, কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিলাম। কিন্তু হুট করে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়লাম। এটা ৩-০ ব্যবধানও হতে পারত। আমরা ভালো জবাব দিয়েছি। সামগ্রিকভাবে বেশ ভালো খেলেছি, তবে আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি এবং তারা সেটা কাজে লাগাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমাদের প্রতিক্রিয়া সত্যিই ভালো ছিল এবং শেষ পর্যন্ত আমি মনে করি জয়টি আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
চমৎকার গোলে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি ডে ব্রুইনে।
“আমি মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব গোল করা এবং ম্যাচের গতিবিধি কিছুটা পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয় না, আমরা খারাপ খেলেছি তবে স্কোরলাইন মোটেও ভালো ছিল না। আমরা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”