চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
পেপ গুয়ার্দিওলার দলের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া সবসময়ই দুঃস্বপ্নের মতো, বলছেন রেয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
Published : 11 Feb 2025, 10:57 AM
রেয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার লড়াই তো ইতিহাসের পথ ধরেই ‘এল ক্লাসিকো।’ এখন আধুনিক একটি ক্লাসিকোর জন্মও হয়েছে। রেয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির লড়াই কার্লো আনচেলত্তির চোখে ‘মডার্ন ক্লাসিকো।’ সেই দ্বৈরথে রেয়ালের কোচ দারুণ সম্মান ও সমীহ জানালেন প্রতিপক্ষ কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ ম্যাচের প্রথম লেগে মঙ্গলবার সিটির মাঠে খেলবে রেয়াল। টুর্নামেন্টের গত তিন বছরের চ্যাম্পিয়ন দুই দল এই নিয়ে টানা চতুর্থবার মুখোমুখি হচ্ছে পরস্পরের।
তুমুল আলোচিত লড়াইয়ের আগে আনচেলত্তি বললেন, এই লড়াইয়ের জয়ী দলেরই শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
“এটাকে এখন ‘মডার্ন ক্লাসিকো’ মনে হচ্ছে, কারণ বছরের পর বছর আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছি এই প্রতিযোগিতায়। আমার মনে হয়, বরারবরের মতোই বিনোদনদায়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। অনেক কিছুই নির্ভর করবে মানসিকতা, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের ওপর। এই লড়াই এতটাই উঁচু মানের যে, খেলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেরাটা মেলে ধরতে হবে, স্রেফ একটি দিক তুলে ধরলে চলবে না।”
“এই লড়াই থেকে যে দলই সামনে এগোবে, সেই দলেরই টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটাই দেখা গেছে।”
২০২২ সালে সেমি-ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে পরে শিরোপা জয় করে রেয়াল মাদ্রিদ। পরের বছর শিরোপা জয়ের পথে সিটি হারায় রেয়ালকে। গত বছর কোয়ার্টার-ফাইনালে সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে উঠে পরে চ্যাম্পিয়ন হয় রেয়াল।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সিটির অবস্থা অবশ্য সবচেয়ে নাজুক। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তারা শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট পেছনে আছে এক ম্যাচ বেশি খেলেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো প্রাথমিক পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল দলটি। পরে শেষ দিনে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফে খেলা। তাদের সেই অপ্রতিরোধ্য রূপ এবার নেই।
তবে এসব পারিপার্শ্বিকতাকে পাত্তা দিচ্ছেন না আনচেলত্তি। তার ভাবনা পরিষ্কার, গুয়ার্দিওলার দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কখনোই স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই।
“বাস্তবতা হলো, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই দুর্ভাবনার। গুয়ার্দিওলা এমন একজন কোচ, যে ফুটবল খেলাটায় অনেক কিছু বয়ে এনেছে, সে উদ্ভাবনী একজন, তার প্রতি আমার সম্মান অনেক। সে সেরাদের একজন, যদি সেরা নাও হয়।”
“প্রতিবারই যখন তাদের মুখোমখি হই, প্রস্তুতিপর্বটা থাকে দুঃস্বপ্নের মতো। কারণ, সবসময়ই সে এমন কিছু বের করে, যা নিয়ে বাড়তি মাথা ঘামাতেই হয়। সিটি এখনও ইউরোপের সেরা দলগুলির একটি। তাদের আছে সেরা একজন কোচ। টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে সিটির চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ আমরা আর পেতে পারতাম না।”
সিটি যেমন এবার সেরা ছন্দে নেই, চোট-জর্জর রেয়ালও তেমনি বেশ অধাবাহিক। চোটের কারণে রক্ষণভাগে প্রথম পছন্দের একজনকেও পাচ্ছে না তারা এই লড়াইয়ে।