ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
জর্জিয়ার জালে চারবার বল পাঠানোর পরও আরও বড় জয়ের আক্ষেপ কিছুটা আছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের।
Published : 01 Jul 2024, 12:33 PM
লুইস দে লা ফুয়েন্তে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মন্থর ঘরানা থেকে বেরিয়ে গতিময় ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেছে স্পেন। তাই তো জর্জিয়ার জালে ৪ গোল দিয়েও আরও ৪ গোলের আক্ষেপ কোচের কণ্ঠে।
কোলনে রোববার রাতে সুন্দর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ৪-১ গোলে জেতে স্পেন। হজম করা একমাত্র গোলটি ছিল আত্মঘাতী। পুরো ম্যাচে কোনো লড়াই করতেই পারেনি প্রথমবার নকআউট খেলতে নামা জর্জিয়া।
গোলের জন্য ৩৫টি শট করে ১৩টি লক্ষ্যে রাখে ২০১২ সালে সবশেষ ইউরো জেতা স্পেন। এর ৪টিতে তারা খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। দুই অর্ধ মিলে যে আক্রমণের ধার দেখিয়েছে স্পেন, তাতে গোল আরও ৪টি হতে পারত মনে করেন দে লা ফুয়েন্তে।
তবে ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে ভোলেননি স্পেন কোচ।
“আমার মতে, দারুণ রক্ষণ সামলানো ও প্রতি আক্রমণে পারদর্শিতা দেখানো একটি দলের বিপক্ষে আমরা পুরো সময় ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি। এই জয় কতটা জরুরি তার মূল্য বোঝা উচিত আমাদের। আমাদের প্রতিপক্ষ খুবই ভালো দল ছিল।”
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে হবাঁন লু নহমাঁর আত্মঘাতী গোলে টুর্নামেন্টে এই প্রথম নিজেদের জালে বল ঢুকতে দেখে স্পেন। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমার্ধে সমতা ফেরায় তারা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে করে আরও ৩ গোল।
বড় জয়ের তৃপ্তি আছে স্পেন কোচের। তবে গোল আরও না হওয়ার আক্ষেপও শোনালেন কিছুটা।
“আমরা জানতাম জর্জিয়ার জায়গা বদল ও প্রতি আক্রমণ থেকে হুমকি আসতে পারে। তবে তারা গোলের জন্য লক্ষ্য বরাবর কোনো শট নিতে পারেনি।”
“অবশ্যই তাদের গোলের পর আমরা কিছুটা নার্ভাস হয়ে যাই। তবে আমরা এত বেশি সুযোগ তৈরি করেছি যে, ম্যাচের ফল ৮-১ হতেও পারত।”
অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ২০১২ সালের ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে হারানোর পর এবারই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের নকআউটে মূল ম্যাচের ৯০ মিনিটেই জিতল স্পেন। এর আগের প্রায় এক যুগে তিনটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোতে মূল ম্যাচে জিততে পারেনি তারা।
সেই অপেক্ষা ঘোচানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি। আগামী শুক্রবার রাতে ৪ ম্যাচে ১০ গোল করা জার্মানদের মুখোমুখি হবে স্পেন। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে প্রস্তুত থাকার প্রত্যয় জানালেন দে লা ফুয়েন্তে।
“কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। তবে টুর্নামেন্টের সেরা দল আমাদের। জার্মানি দুর্দান্ত দল। বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের কয়েকজন আছে তাদের। তারা খুবই গোছানো ও শৃঙ্খল। তবে তাদেরকে এবার তাদের মতোই একটি দলের মোকাবিলা করতে হবে। যারা নিবেদিত, খুবই গোছালো এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে ক্ষুধার্ত।”