আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করে কঠিন সময় পেছনে ফেলার আনন্দ বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের।
Published : 04 Dec 2023, 07:22 PM
ধারে বার্সেলোনায় খেললেও জোয়াও ফেলিক্স তো মূলত আতলেতিকো মাদ্রিদেরই খেলোয়াড়। সেই দলের বিপক্ষেই গোল করে উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি। এর পেছনের কারন খোলাসা জানালেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। বললেন, খারাপ সময় পেছনে ফেলার স্বস্তি থেকেই ওভাবে উদযাপন করেন তিনি।
কাতালান ক্লাবটির শুরুতে ফেলিক্সকে দলে টানার পরিকল্পনা ছিল না। তবে ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার নিজেই ক্লাবটিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর বদলে যায় চিত্র। দলবদলের শেষ দিন নাটকীয়ভাবে বার্সেলোনায় নাম লেখান ফেলিক্স।
এতে ফেলিক্সের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় আতলেতিকোর সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে আক্রমণও করা হয়। লা লিগায় রোববার রাতে দুই দলের ম্যাচে তাই স্পটলাইট ছিল তার ওপর। তিনিই ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেন। ২৮তম মিনিটে গোলটি করে গ্যালারির কাছাকাছি গিয়ে দুই হাত উঁচিয়ে উদযাপন করেন তিনি।
ম্যাচের পর সেই মূহুর্তটি নিয়ে মুভিস্টার প্লাসকে ফেলিক্স বলেছেন, তার মনে চাপমুক্ত হওয়ার তৃপ্তি কাজ করছিল।
“এটা (উদযাপন) ছিল স্বতঃস্ফূর্ত…এই গ্রীষ্মে আমি যেসবের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তার মাঝে এটা স্বস্তির মতো ছিল। শুধুমাত্র আমার সবচেয়ে কাছের মানুষরা, বিশেষ করে আমার পরিবার জানে যে আমাকে কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তাই গোলটি তাদের উৎসর্গ করেছি।”
“(যখন সমর্থকরা তার নাম ধরে চিৎকার করছিল) আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি জানি, বার্সেলোনা কত বড় ক্লাব আর এর সমর্থকদের কারো নাম ধরে হর্ষধ্বনী দেওয়ার ঘটনা বেশি মানুষের বেলায় ঘটে না। আমি উচ্ছ্বসিত।”
সম্প্রতি আতলেতিকো ফরোয়ার্ড গ্রিজমান ফেলিক্সের সমালোচনা করে বলেন, ‘ধারাবাহিকতার অভাব’ থাকায় আতলেতিকোয় জায়গা পাকা করতে পারেননি এই পর্তুগিজ। দলটির মিডফিল্ডার সাউল নিগেসও সমালোচনা করেছিলেন ফেলিক্সের।
বার্সেলোনার জার্সিতে সময়টাও ভালো যাচ্ছিল না তার। তবে এখন আসলেই কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারেন তিনি। ১২ ম্যাচের গোল খরার পর গত মঙ্গলবার এফসি পোর্তোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে জালের দেখা পান ফেলিক্স। আর এবার হলেন দলের জয়ের নায়ক।