এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল লেবাননের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে এই দুই দলের সঙ্গে আছে মালদ্বীপ ও ভুটান।
ভারতের দিল্লিতে বুধবার অনুষ্ঠিত হয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসরের ড্র। দুই অতিথি ও দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দল মিলিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দুই শীর্ষ দল লেবানন ও ভারতকে রাখা হয় দুই পটে। ‘এ’ পটে ভারত ও ‘বি’ পটে রাখা হয় লেবাননকে।
র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাকি তিন পটের প্রথটিতে কুয়েত ও মালদ্বীপ, দ্বিতীয়টিতে নেপাল ও ভুটান এবং তৃতীয়টিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে রাখা হয়।
‘এ’ গ্রুপে ভারত ও কুয়েতের সঙ্গী আছে নেপাল ও পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতাটির চতুর্দশ আসর আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে ৪ জুলাই শেষ হওয়ার কথা।
এবারের সাফের দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী দল লেবানন। বর্তমানে ৯৯তম স্থানে আছে তারা। আরেক অতিথি দল কুয়েত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৩তম।
সাফের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (১০১তম)। বাকি পাঁচ দলের অবস্থান যথাক্রমে মালদ্বীপ (১৫৪), নেপাল (১৭৪), ভুটান (১৮৫), বাংলাদেশ (১৯২), পাকিস্তান (১৯৫তম)।
প্রতিযোগিতার রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। ভারতের মতো একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি আছে কেবল মালদ্বীপের; ২০০৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা।
গত ১৩ আসরের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একবার করে এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে।
২০০৩ সালে সবশেষ এই মুকুট জয়ী বাংলাদেশ ২০০৫ সালে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল, সেবার ভারতের কাছে হারে দল।
২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাছাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বৈরুতে ৪-০ গোলে হেরে গেলেও ঢাকায় ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল দল।
২০১৫ সালে কেরালার আসরে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান। দুই আসর বিরতি দিয়ে এবার ফিরেছে কখনই ফাইনালের মঞ্চে উঠতে না পারা এই দলটি। এবার গ্রুপ পর্বেই তাদের দেখা হবে ভারত, কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।