কোপা আমেরিকা
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা এখনও তাড়া করে ফিরে উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডকে।
Published : 17 Jun 2024, 09:02 PM
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে গোলের হিসাবের মারপ্যাঁচে ছিটকে পড়ার সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও পুরোপুরি ভুলতে পারেননি লুইস সুয়ারেস। কোপা আমেরিকা মিশন সামনে রেখে সেই স্মৃতি আওড়ালেন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। আরও বললেন, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে কতটা উদগ্রীব তিনি।
সুয়ারেসের কোপা আমেরিকার এবারের আসরে খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলই। ইন্টার মায়ামিতে আলো ছড়াচ্ছেন বটে, কিন্তু ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসির মতো বয়সের ভারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে অন্তত তিনি ছুটছেন না। তাই মার্সেলো বিয়েলসার ডাকের অপেক্ষায় ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড নাকি ছিলেন প্রথম ডাক পাওয়ার সময়ের মতো আনন্দের দোলুনি নিয়ে।
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব সুয়ারেসদের জন্য শেষ পর্যন্ত ছিল ভীষণ হতাশার। দক্ষিণ কোরিয়ার সমান পয়েন্ট ছিল তাদের; নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতলেও গোল দরকার ছিল আরও একটি। সেটা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত গোল দেওয়ার হিসাবে নকআউট পর্বে উঠে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ছিটকে যাওয়ার সেই কষ্ট এখনও কাটা হয়ে বিঁধে সুয়ারেসের মনে।
“আমি কোপা আমেরিকায় খেলতে চেয়েছিলাম, কেননা, বিশ্বকাপের ওই কষ্ট আমার মনে গেঁথে আছে। সবকিছু যেভাবে ঘটেছিল, তাতে আমি খুব হতাশ ছিলাম। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে অনুভূতিগুলো কমতে থাকে এবং সবকিছু আরও উপভোগ করতে হবে।”
“এই প্রজন্মের সাথে কোপা আমেরিকায় অংশ নিতে আমি উন্মুখ। প্রথম জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার সময়ের মতো রোমাঞ্চ নিয়ে এবার ডাকের আশায় ছিলাম আমি। জানতাম, দলে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য আমার নামটা যথেষ্ট নয়। কোচ যেমন শারীরিক ফিটনেস ও পারফরম্যান্স চান একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে, সেটা থাকতে হবে।”
উরুগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেস। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলাদের তালিকায়ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই ফরোয়ার্ড বললেন, এই বয়সেও শিখছেন তিনি।
“৩৭ বছর বয়স সত্ত্বেও…কেউ কখনই শেখা বন্ধ করে না। আজকের ফরোয়ার্ডদের দেখছি আমি এবং দেখছি সবকিছু কিভাবে বিকশিত হচ্ছে। আমি যে কাজগুলো করিনি, এখন তারা সেটা করছে।”
কোপা আমেরিকা মিশনে উরুগুয়ের শুরুর একাদশে হয়তো ঠাঁই মিলবে না, তবে দলে সুয়ারেস এখনও গুরুত্বপূর্ণ। এই বাস্তবতা আগে থেকেই মেনে নিচ্ছেন বার্সেলোনার এই সাবেক তারকা।
“আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে এবং বুঝতে হবে। যখন আমি তরুণ ছিলাম, তখন দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় যারা আমার সঙ্গী ছিল, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম। বিষয়টা এমন না যে, তখন তাদের খেলার পালা ছিল, কিন্তু তারা ছিলেন আমাদের সাহায্য করার জন্য। যে আত্মবিশ্বাস তারা আমাকে দিয়েছিলেন, সেটা আমাকে পারফরম করতে সাহায্য করেছিল।”