কোয়ার্টার-ফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে পাঁচ জনের দল চীনের সাংহাইয়ে যাচ্ছে আর্চারি বিশ্বকাপ খেলতে।

কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে চীনের সাংহাইয়ে যাচ্ছেন আলিফ-বন্যারা। ছবি: আর্চারি ফেডারেশন

রিকার্ভে তিন জন, কম্পাউন্ডে দুই জন- সব মিলিয়ে পাঁচ আর্চারকে নিয়ে চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠেয় আর্চারি বিশ্বকাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। তবে এখনই বড় স্বপ্ন দেখছে না দল। আপাতত কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলাই লক্ষ্য।

মঙ্গলবার শুরু হয়ে আগামী ১১ মে শেষ হবে আর্চারি বিশ্বকাপ (স্টেজ-২) প্রতিযোগিতা। রিকার্ভে আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম ও রামকৃষ্ণ সাহা এবং কম্পাউন্ডে হিমু বাছাড় ও বন্যা আক্তার অংশ নিবেন।

অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বিওএ ভবনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্যের কথা জানান প্রধান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক। এই জার্মান কোচের পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকস।

“২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকস গেমসকে সামনে রেখে কম্পাউন্ডে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে চাই আমরা। চীনের আসর নিয়ে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য কোয়ার্টার-ফাইনাল।”

এই প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ে পদক পাওয়ার অতীত আছে বাংলাদেশের। ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির এক নম্বর সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহেমদ চপল সেই অতীত টেনে বললেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য।

“বিশ্বকাপে আমাদের অনেক সাফল্য আছে। সিলভার মেডেলও আমরা জিতেছি। আবার সাংহাইয়ে এর আগে কোরিয়ার সাথে আমরা সেমি-ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এক পয়েন্টে হেরেছি। আশা করছি, সাফল্যের ধারাবাহিকতা আমরা এবারও ধরে রাখতে পারব। কারণ আমাদের ছেলেদের রিকার্ভ টিম দুর্দান্ত।”

ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান অবশ্য বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও বেশি আর্চারের সুযোগ দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরলেন সংবাদ সম্মেলনে।

“দেশে বিদেশে সব জায়গায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যেন কোন গ্যাপ না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবার আমরা ১৮ জন নিতে পারতাম। সেখানে যাচ্ছে মাত্র পাঁচ জন আর্চার। আমরা সবাই আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করলে এসব খেলায় স্পন্সর পাওয়া কোনো বিষয় না।”

এই প্রতিযোগিতায় আর্চারি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে সিটি গ্রুপ।