রেয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর প্রথমবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলতে যাচ্ছেন সের্হিও রামোস।
Published : 21 Feb 2024, 07:29 PM
দেড় দশকের বেশি সময় রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন সের্হিও রামোস। জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা। আছে অনেক সুখস্মৃতি। দলটির সঙ্গে তার সম্পর্ক চুকেবুকে যাওয়ার আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। লম্বা সময় পর ফের তিনি সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের সবুজ আঙিনায় ফিরতে যাচ্ছেন। এবার সেভিয়ার জার্সিতে। অন্যরকম এক আবেগের স্রোত বয়ে যাচ্ছে রামোসের মনের গহীনে।
ক্লাব ছেড়ে এলেও রেয়ালের প্রতি শ্রদ্ধার একবিন্দু কমতি নেই রামোসের। তাই তো বললেন, প্রিয় সেই দলের বিপক্ষে মাঠে নেমে গোল করলেও তিনি উদযাপন করবেন না।
রেয়ালে রামোসের ১৬ বছরের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে ২০২১ সালের জুনে। পরের মাসে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। ফরাসি ক্লাবটিতে নিজের প্রথম মৌসুমেই রেয়ালের বিপক্ষে খেলার সুযোগ এসেছিল তার সামনে। ২০২১-২২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি ও রেয়াল। কিন্তু চোটের কারণে দুই লেগের একটিতেও খেলা হয়নি এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের।
পিএসজিতে দুই মৌসুম কাটানোর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শৈশবের ক্লাব সেভিয়ায় ফেরেন রামোস। এই ক্লাবটি থেকেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন রেয়ালে। মাদ্রিদে অসংখ্য অর্জনে সমৃদ্ধ হয় তার ক্যারিয়ার।
সেভিয়ায় ফেরার পরের মাসেই অবশ্য রেয়ালের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন রামোস। লা লিগায় মৌসুমের প্রথম দেখার ওই ম্যাচে নিজেদের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল সেভিয়া। আগামী রোববার ফিরতি দেখায় বের্নাবেউয়ে খেলবে তারা। তার আগে স্পোর্টস স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিএজেডএন-এর সঙ্গে আলাপে রামোস বললেন, তার জন্য বিশেষ মুহূর্ত হতে যাচ্ছে এটি।
“মনে হচ্ছে, আমি বাড়িতে ফিরতে যাচ্ছি। কারণ সেখানে আমি অনেক বছর কাটিয়েছি, আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো এবং ভক্ত, সতীর্থদের সঙ্গে চমৎকার স্মৃতি আছে সেখানে। এটি বিশেষ এবং আবেগঘন মুহূর্ত হবে।”
২৫ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে লা লিগার শীর্ষে আছে রেয়াল। যেখানে সেভিয়ার অবস্থান ১৫ নম্বরে। রামোস ভালো করেই বুঝতে পারছেন দুই দলের পার্থক্য। তবে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে চান তারা।
“রেয়াল মাদ্রিদ প্রতি বছর সবকিছু জয়ের জন্য ফেভারিট। তারা ভালো সময় পার করছে, লিগের শীর্ষে আছে এবং তাদের অসাধারণ মানের সব খেলোয়াড় আছে। আমরা যে জায়গায় খেলতে যাচ্ছি, সেটা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানি এবং সেখানে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।”
রেয়ালের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথাও অকপটে জানিয়ে দিলেন ৩৭ বছর বয়সী রামোস।
“সমর্থক এবং রেয়াল মাদ্রিদের সবার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে এবং আমি যদি গোল করি, তাহলে উদযাপন করব না। কিন্তু সেই গোল যদি আমাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়, আমি খুশি হব, কারণ তিন পয়েন্ট আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।”