ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
বদলে যাওয়া ইতালির মাঝে নিজেদের ছায়া দেখেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
Published : 20 Jun 2024, 02:31 PM
প্রথাগত কৌশল থেকে বেরিয়ে এবারের ইউরোতে নিজেদের ভিন্ন ভাবে মেলে ধরেছে ইতালি ও স্পেন। আক্রমণাত্মক ফুটবলে জয় দিয়ে আসর শুরু করা দল দুটি মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এবার। বদলে যাওয়া প্রতিপক্ষের মাঝে নিজেদেরকে দেখছেন স্প্যানিশ কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তার বিশ্বাস, ম্যাচটি হবে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লড়াইয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন তিনি।
‘সবার আগে ঘর সামলানো’র নীতি থেকে সরে এসে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেছে ইতালি। নতুন কৌশলে ইউরোর শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে আলবেনিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
আর স্পেন পাল্টে ফেলেছে তাদের পজেশন ধরে রেখে ছোট ছোট পাসের ‘তিকি-তাকা’ ফুটবলের সেই চিরায়ত কৌশল। বল দখলে অতিরিক্ত মনোযোগ না দিয়ে এখন তারা সোজাসুজি আক্রমণ শাণাতে পটু। বদলে এই স্পেন ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে।
‘বি’ গ্রুপে স্পেন ও ইতালির পয়েন্ট সমান ৩ করে। শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মুখোমুখি হবে তারা। নতুন ঘরানার ফুটবল খেলতে শুরু করা দুই দলের লড়াইটি জমজমাট হবে বলে মনে করছেন লা ফুয়েন্তে। গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির জন্য তৈরি থাকার কথা বলেছেন তিনি।
“আমরা জানি, তারা কী ধরনের ফুটবল খেলে এবং কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তাই আমরা অবাক হব না। আমি একটি শক্তিশালী, আক্রমণাত্মক ইতালি দলের আশা করি, যারা বল দখলের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটি।”
স্পেন ও ইতালির দ্বৈরথ অনেক পুরোনো। ইউরোতে কোনও দুটি দেশ তাদের চেয়ে বেশিবার মুখোমুখি হয়নি। ১৯৬০ সালের পর এনিয়ে অষ্টমবার এবং টানা পঞ্চম আসরে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা।
তিকি-তাকার ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ অস্ত্রে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো জয়ের মাঝে ২০১০ সালের বিশ্বকাপও জিতেছিল স্পেন। তবে এখন তাদের সেই কৌশল কিছুটা ভোতা হয়ে গেছে। তাই নতুন পথ বেছে নিয়েছেন লা ফুয়েন্তে।
স্পেন কোচের মতে, তাদের মতো অবস্থা ইতালিরও। তাই গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের মাঝে নিজেদের ছায়া দেখছেন তিনি।
“আমরা অনেকটা একই রকম। তারাও এমন একটি দল যারা এখনও উন্নতির মধ্যে আছে, অনেক তরুণ খেলোয়াড় এবং একজন নতুন কোচ রয়েছে, নিজেদের ঘরানায় খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ... আমি যখন তাদের দেখি তখন মনে হয় আয়নায় নিজেকে দেখছি।”
“দুটি ঐতিহ্যবাহী দলের মধ্যে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ ম্যাচ হবে। এটা একটা ফুটবলের ধ্রুপদি ম্যাচ। এমন একটা লড়াই যা সহজেই ইউরো বা বিশ্বকাপের ফাইনাল হতে পারে।”