রেঞ্জার্সের বিপক্ষে পাওয়া বড় জয়ে বাধনহারা উল্লাসে মাতার কথাও জানালেন লিভারপুল কোচ।
Published : 13 Oct 2022, 06:11 PM
যেকোনো সাফল্যই দলের আবহ বদলে দেয়, যোগান দেয় দুঃসময়কে পেছনে ফেলার আত্মবিশ্বাস। সেখানে জয় যদি ৭-১ গোলের ব্যবধানের হয়, তাহলে তো কথাই নেই। লিভারপুল তাই টগবগে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে। ক্লাবটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের আশা, সাম্প্রতিক ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে তার দল ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে নামবে।
রেঞ্জার্সের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুধবার রাতে ৭-১ গোলে জেতে লিভারপুল। হ্যাটট্রিক উপহার দেন মোহামেদ সালাহ, জোড়া গোল করেন রবের্ত ফিরমিনো, একটি করে গোল দারউইন নুনেস ও হার্ভি এলিয়টের।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাদের। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে ধুঁকছে লিভারপুল। এই জয়ের সুবাস মেখে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরু হয়েছিল হারের হতাশায় ডুবে। বিবর্ণ পারফরম্যান্সে নাপোলির মাঠে ৪-১ গোলে উড়ে যায় তারা। সবশেষ লিগ ম্যাচেও আর্সেনালের কাছে লিভারপুল হেরে যায় ৩-২ গোলে।
রেঞ্জার্স ম্যাচের পর যেন বদলে গেছে সবকিছু। এতটাই বদলেছে যে, উদযাপন ইস্যুতে বিয়ার গলাধকরণের প্রসঙ্গও টানলেন ক্লপ!
“এই জয়ে নিশ্চিতভাবে দলে আবহ বদলেছে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিস্থিতি। অ্যাওয়ে ম্যাচের পর আমরা সাধারণত একটা বিয়ার পান করি, কিন্তু আমি সবশেষ বিয়ার পান করেছিলাম অনেক আগে। আজ সম্ভবত আমরা একটির বেশি বিয়ার পান করব।”
“এই জয় দলের মুড সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে এবং এটা ভালো। কিন্তু আমরা সবাই জানি, আগামী রোববার কারা আমাদের প্রতিপক্ষ এবং এটা ভিন্ন একটা ম্যাচ। তবে যেকোনো কিছুর চেয়ে আজ রাতে আমরা যেটা পেয়েছি, এই জয়ের অনুভূতি নিয়ে আরেকটি ম্যাচ খেলতে যাওয়াটা দারুণ।”
লিগ টেবিলে লিভারপুলের সঙ্গে সিটির ব্যবধান যোজন যোজন মাইল। ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
লিভারপুল ম্যাচ জিতলে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকবে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের সামনে। আর লিভারপুলের জন্য ম্যাচটি লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ।
রেঞ্জার্সের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে সব পরিকল্পনাই সফল হয়েছে লিভারপুলের। বদলি নামার পর ৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি দলের মুঠোয় আনেন সালাহ। মিশরের এই ফরোয়ার্ডের মতো আক্রমনভাগে কার্যকরী ছিলেন ফিরমিনো, নুনেসরা।
নুনেস, ফিরমিনো ও জর্ডান হেন্ডারসনদের দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিয়েছিলেন ক্লপ। সামনে সিটির বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় কারণেই এই পরিবর্তন কিনা, তা নিয়ে কিছু বলেননি জার্মান কোচ। তবে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে থাকা দলকে ঠিকই শোনালেন সতর্কবার্তা।
“(ক্লাব পর্যায়ে) বিশ্বের সেরা দলটি রোববার অ্যানফিল্ডে আসছে। দেখা যাক আমরা কি করতে পারি।”
“কিন্তু এখন বিষয়টা এমন নয় যে আমরা বড় গলায় বলব, তোমরা আসো, আমরা অপেক্ষা করছি। বিষয়টা তা নয়। (রেঞ্জার্স ম্যাচের জয়) আজকের এই রাত আমাদের, ভিন্ন কারণে এই জয়টা অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, আমরাও জানি ৭-১ গোলের জয় পাগলাটে জয়।”