কেবল ১৮ বছর বয়সে চোটের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বকাপে নেমেই দেশকে বিশ্বসেরার মুকুট পরানোর কারিগর। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড গড়া পেলে অনেকের মতেই ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। বার্ধক্যে এসে কিংবদন্তিকে এখন লড়তে হচ্ছে নানা শারীরিক জটিলতার সঙ্গে। তবে ফুটবল মাঠের মতোই হার মানার পাত্র নন তিনি। পেলের ছেলে এদিনিয়ো বলেছেন, তার বাবা ক্যানসারের সঙ্গে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন।
Published : 07 Mar 2022, 05:36 PM
শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল পেলেকে। সেখানেই তার বৃহদান্তে টিউমার ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় এক মাস হাসপাতালে থাকার পর অক্টোবরের শুরুতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি চলছে তার।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কেমোথেরাপির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন পেলে। এরপর তার মূত্রনালীর সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসা শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি।
এদিনিয়ো গত রোববার অস্থায়ীভাবে ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগের দল লন্দ্রিনার কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তুবারাওয়ের বিপক্ষে তার দল জেতে ১-০ গোলে। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, তারা বাবা খেলোয়াড়ি জীবনের মতোই লড়াকু মানসিকতা দিয়ে শারীরিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন।
“বাবা ভালো আছেন। শারীরিকভাবে খুব কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কিন্তু আমার বাবা একজন যোদ্ধা, যেমনটা তিনি সারাজীবন ছিলেন। তিনি এখনও লড়াই করছেন। আমাদের পরিবার তার জন্য অনেক প্রার্থনা করছে এবং আমরা আশা করছি যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
নব্বই দশকে সান্তোসে গোলরক্ষক হিসেবে খেলা এদিনিয়ো নিশ্চিত নন, পারানা রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে তুবারাওয়ের বিপক্ষে তার দলের বিপক্ষে ম্যাচটি পেলে দেখেছেন কি-না।
“আমি তাকে বললেই কেবল তিনি জানতে পারবেন। আমরা তাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য সবসময় উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করি।”
৫১ বছর বয়সী এদিনিয়ো মূলত লন্দ্রিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ। একটি ম্যাচের জন্য তাকে মূল দলের কোচ করা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে নতুন কোচ এলে তার নিয়মিত দায়িত্বে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।