১১ মাস আগে হুয়ান লাপোর্তা বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর একটি আর্থিক নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন। আগের বোর্ডের সম্ভাব্য অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কর্পোরেট তদন্তকারী দল নিয়োগ করেছিলেন তিনি।
এই তদন্তের ফলাফল ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে বুধবার বিবৃতিতে জানিয়েছে বার্সেলোনা। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাদেশিক প্রসিকিউটর অফিসে আগের বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্লাবের দায়ের করা অভিযোগের বিশদ বিবরণও সেখানে থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে বার্তোমেউয়ের মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যদিও এর আগে অন্যায় বা অব্যবস্থাপনার কথা অস্বীকার করেছিলেন বার্তোমেউ।
গত অগাস্টে লাপোর্তা দাবি করেন, বার্তোমেউ দায়িত্বে থাকাকালীন ক্লাবের ট্রান্সফার বিষয়ে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীদের কমিশন হিসেবে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিমাণে’ অর্থ প্রদান করেছিল বার্সেলোনা।
অনুপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়িক দুর্নীতির অভিযোগে গত মার্চে বার্তোমেউকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয়েছিল কাম্প নউয়ে ক্লাবের অফিসে।
ক্লাব সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনলাইনে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বার্সেলোনা ‘আইথ্রি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেছিল বলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খবর বেরিয়েছিল। যা পরবর্তীতে ‘বার্সাগেট’ নামে পরিচিতি পায়। এ বিষয়ে অভিযোগের আঙুল ছিল বার্তোমেউয়ের দিকে। যদিও তা অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তার গ্রেপ্তার হওয়া সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে তখন স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিনই অবশ্য জামিনে মুক্তি পান বার্তোমেউ। তখন বার্সেলোনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের পক্ষেই সাফাই গেয়েছিলেন তিনি।
“আমাদের ব্যবস্থাপনা খুব বাজে ছিল না এবং লা লিগা, উয়েফা ও নিরীক্ষকরা সেটিই বলে। আমাদের মুনাফা ছিল ১৮ কোটি (ইউরো) এবং ফোর্বস আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব হিসেবে মূল্যায়ন করেছিল। এমন আন্তরিক ও যথাযথ একটি ম্যানেজমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়েছিল কোভিড মহামারীর কারণে, যেখানে আমাদের ৫০ কোটি ইউরো আয় কমে গিয়েছিল।”