ম্যাচের প্রথম ২১ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল হজম। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। উল্টো বিরতির পর খেয়ে বসে আরও দুটি। ক্লাব ইতিহাসে গত ৪৩ বছরে সবচেয়ে বড় হারের তেতো স্বাদ পেয়ে জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে জার্মানির ঐতিহ্যবাহী দলটি।
Published : 28 Oct 2021, 04:00 PM
প্রতিযোগিতাটিতে বুধবার রাতে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে ৫-০ গোলে হারে বায়ার্ন মিউনিখ।
দ্বিতীয় মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কোনে। এরপর ১৫ থেকে ছয় মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেন রামি বেনসেবাইনি। এর একটি পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ছয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেন ব্রিল এমেবোলো।
পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে মনশেনগ্লাডবাখের ১৩ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্য, এর পাঁচটিতেই মেলে গোল। আর বায়ার্নের ১৫ শটের আটটি লক্ষ্যে থাকলেও সাফল্য মেলেনি।
কদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই ম্যাচেও ডাগআউটে ছিলেন না বায়ার্ন কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। তবে মাঠে নেমেছিল পূর্ণ শক্তির দলই। গোলপোস্টের নিচে মানুয়েল নয়ার, আক্রমণভাগে ছিলেন রবের্ত লেভানদোভস্কি, লেরয় সানে, টমাস মুলার, সের্গে জিনাব্রিরা।
“আমি সত্যিই হতবাক…আমরা একেবারেই ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। প্রথমার্ধে আমরা একটিও ট্যাকল বা চ্যালেঞ্জ জিততে পারিনি।”
নাগেলসমানের কোচিংয়ে এটি বায়ার্নের দ্বিতীয় হার। ৮৫ ম্যাচ পর গোল করতে ব্যর্থ হলো দলটি।
বায়ার্ন সবশেষ অন্তত পাঁচ গোলের ব্যবধানে কোনো ম্যাচ হেরেছিল ১৯৭৮ সালে, বুন্ডেসলিয়ায় ফরটুনা ডুসেলডর্ফের বিপক্ষে ৭-১ ব্যবধানে।
আর তাদের সবচেয়ে বড় হার ১৯৭৬ সালে লিগ ম্যাচে ঘরের মাঠে শালকের বিপক্ষে ৭-০ গোলে। তবে মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে এই ৫-০ গোলের হার জার্মান কাপে তাদের সবচেয়ে বড় হার। এই প্রতিযোগিতায় রেকর্ড ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা।