বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্তিনেস।
ম্যাচে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে সাতটি শট নিতে পারে আর্জেন্টিনা, যার মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। আর পেরুর পাঁচ শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
চার দিন আগে মেসির ভাষায় ‘নিখুঁত’ পারফরম্যান্সে উরুগুয়েকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনা যেন ঠিক সেই ছন্দেই মাঠে নামে। ম্যাচের ঘড়ির কাটা ৩০ সেকেন্ড পেরোতেই পেরুর রক্ষণে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো দে পল। গোলমুখ বরাবর নেন ডান পায়ের শট নেন; কিন্তু লক্ষ্যে ছিল না বল, টোকা দেওয়ার মতোও ছিল না তার কোনো সতীর্থ।
দুই মিনিট পর এবার বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকেন আনহেল দি মারিয়া। মেসির দারুণ ক্রসে ধরে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নবম মিনিটে সেটপিসে হেড করে বল জালে পাঠান ক্রিস্তিয়ান রোমেরো; কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার।
৩৯তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ হারান দি মারিয়া। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রস বক্সে পেয়ে ভলি করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মার্তিনেস। তার পা ছুঁয়ে বল চলে যায় দি মারিযার পায়ে। ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার। অবশেষে এর চার মিনিট পর গোলের দেখা পায় তারা।
ডান দিকে গড়া আক্রমণে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে একটু এগিয়ে ক্রস বাড়ান নাউয়েল মোলিনা। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে জোরালো হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার মার্তিনেস।
৬৫তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় পেরুর। পাল্টা আক্রমণে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া জেফারসন ফারফানকে গোলরক্ষক মার্তিনেস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু স্পট কিকে ক্রসবার কাঁপান ইয়োশিমার ইয়োতুন।
শেষ দিকে কর্নারে উড়ে আসা বল হেডে জালে পাঠান গিদো রদ্রিগেস। তবে হেড নেওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি প্রতিপক্ষকে ফাউল করায় ব্যবধান বাড়েনি। বাকি সময়েও চাপ ধরে রাখে আর্জেন্টিনা, তবে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি হয়।
দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলেও টানা দ্বিতীয় জয়ের আনন্দে এবারের আন্তর্জাতিক বিরতি শেষ করল আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকার বাছাইয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থানও মজবুত হলো।
১১ ম্যাচে সাত জয় ও চার ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা।
এক ম্যাচ বেশি খেলা একুয়েডর ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। তাদের সমান ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে কলম্বিয়া।
১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে থাকা পেরুর বিশ্বকাপ স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছে।