ফ্রান্স দলের প্রাণভোমরা তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে সমালোচনার মুখে পড়ায় ‘অভিমানের বশে’ জাতীয় দল থেকে অবসরের চিন্তাও পেয়ে বসেছিল তাকে। তবে তার সামর্থ্য নিয়ে কখনোই কোনো সংশয় ছিল না কোচ দিদিয়ের দেশমের।
Published : 08 Oct 2021, 10:59 PM
বৃহস্পতিবার রাতে নেশন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে জেতে ফ্রান্স। নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ফ্রান্স এমবাপের সফল স্পট কিকেই সমতায় ফেরে।
তারুণ্যেই তারকাখ্যাতি পাওয়া এমবাপে ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে গত জুন-জুলাইয়ে হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পিএসজি তারকা ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শট নিয়ে মিস করেছিলেন এমবাপে, ছিটকে গিয়েছিল ফ্রান্স। কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের প্রসঙ্গ উঠতে এমবাপের কণ্ঠে ফুটে ওঠে কিছুটা অভিমান। বলেন, ওই ম্যাচের পর জাতীয় দল থেকে অবসরের চিন্তাও পেয়ে বসেছিল তাকে।
তবে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের প্রতি কখনও আস্থা হারাননি দেশম। বেলজিয়াম ম্যাচের পর তিনি বলেন, এমবাপে নিজেকে ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস ছিল তার। তার মতে, ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের উপস্থিতি দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
"কিলিয়ানকে নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। আমি সবসময় তাকে সমর্থন দিয়েছি, তার মধ্যে আমি দৃঢ় সংকল্প দেখেছি। ইউরোর সময় সে ভালো কিছু করতে চেয়েছিল, শেষের দিকে সে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছিল। সে চোটাক্রান্তও ছিল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে সে নিজের মতো খেলতে পারেনি।”
"কিলিয়ানের কাছে প্রত্যাশা অনেক। আমি সবসময় এটা বলেছি...আমি খুব ভালোভাবে জানি কিলিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ফ্রান্স আরও শক্তিশালী। আজ সে এটা দেখিয়েছে।”
বেলজিয়ামের বিপক্ষে লড়াইটি দিয়েই ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ৫০টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন ২২ বছর বয়সী এমবাপে।
২২ বছর ২৯১ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়লেন এমবাপে। আগের রেকর্ডটি ছিল তারই সতীর্থ করিম বেনজেমার। ২৪ বছর ২৯৪ দিন বয়সে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
"আক্রমণে সে (করিম) বেনজেমা ও অঁতোয়ানের( গ্রিজমান) সঙ্গে মিলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটা ফ্রান্সের জন্য ভালো। কিন্তু তাকে নিয়ে আমি কখনও সংশয়ে ছিলাম না।