ঘণ্টাখানেক পার করে দেওয়ার পর হঠাৎই ছন্দপতন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের রক্ষণে ধরল চিড়। ভুল করে বসলেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও। সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে প্রিমিয়ার লিগে জয় তুলে নিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
Published : 19 Jul 2021, 09:03 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ২-০ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। আসরে এটা তাদের ১১তম জয়।
১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী লিমিটেডকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। এক ম্যাচ বেশি খেলা আবাহনী ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে।
শেখ জামালের সঙ্গে প্রথম লেগের দেখায় ৪-২ গোলে হারা শেখ রাসেল ১৮ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে সপ্তম স্থানে। ফিরতি লেগের এই হারে সাইফুল বারী টিটুর দলের জন্য সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করা কঠিন হয়ে গেল আরও।
প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল সমানে সমান। ৩৭তম মিনিটে সেরা সুযোগটি পায় শেখ জামাল। শ্যামল মিয়ার পাস ধরে দুই ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ ও আসাদুজ্জামান বাবলুকে কাটিয়ে গোলমুখের কাছাকাছি পৌঁছে যান ভালিজনভ ওতাবেক, কিন্তু উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ডের শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধে শেখ জামাল চাপ বাড়ায়। ৫৯তম মিনিটে রক্ষণের ঢিলেমিতে প্রথম গোল হজম করে শেখ রাসেল। সলোমন কিংয়ের লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক থেকে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান ওমর জোবে। দুখু মিয়া পা বাড়ালেও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাঁকায় থাকা সুলাইমান সিল্লাহ। লিগে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডে গোল হলো ৮টি।
সাত মিনিট পর শেখ রাসেলের হজম করা দ্বিতীয় গোলে দায় আছে গোলরক্ষক রানার। ওতাবেকের পাস ধরে গতিতে দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন জোবে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্লাইড করে ব্যর্থ হন রানা। দূরুহ কোণ থেকে দেখে শুনে ডান পায়ের শটে ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান জোবে।
লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াই জমে উঠল আরও। গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড জোবের গোল ১৫টি। তার সমান গোল বসুন্ধরা কিংসের রাউল অস্কার বেসেরার। কিংসেরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো (১৭টি) নিয়ে তালিকায় শীর্ষে।
৬৮তম মিনিটে বখতিয়ার দুইশবেকভের বাড়ানো বল জালে জড়িয়েছিলেন রেজাউল করিম। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল পায়নি শেখ রাসেল। বাকিটা সময়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জেতা দলটি।
দিনের প্রথম ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জিতে সাইফ স্পোর্টিং। ১৮ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে সাইফ স্পোর্টিং। ১৭ ম্যাচে ১৪তম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া আরামবাগ ৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতেই।