হোম
+
চোখের সামনে সতীর্থের জীবন-মৃত্যুর লড়াই দেখার পর খেলার মন-মানসিকতা কারো থাকতে পারে না। কিন্তু উয়েফার বেঁধে দেওয়া দুটি বিকল্পে কিছু করারও ছিল না তাদের। অস্থির মনে কোনোমতে ম্যাচটি শেষ করলেও কর্মকর্তারা ‘বিরক্তিকর সিদ্ধান্ত’ চাপিয়ে দেওয়ায় ভীষণ অসন্তুষ্ট ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা।
Published : 14 Jun 2021, 09:24 PM
কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে গত শনিবার ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে একটি থ্রো ইন থেকে বল রিসিভ করার আগমুহূর্তে হঠাৎ পড়ে যান ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন। মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয় তাকে। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
পরে জানানো হয়, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখনও হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে। সোমবার নিজেই জানিয়েছেন, আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন তিনি।
তবে সেদিনের সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ক্রীড়া বিশ্বকে। প্রাথমিকভাবে ম্যাচটি পরিত্যক্ত করা হলেও পরে ওই রাতেই তা আবার মাঠে গড়ায়। উয়েফার ওই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষেপেছে সাবেকরা। এবার হতাশা প্রকাশ করল ডেনমার্ক দল।
দলটির খেলোয়াড়দের দাবি, উয়েফার জোরাজুরিতেই ম্যাচটি খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা অবশ্য তখন টুইটারে জানিয়েছিল, দুই দলের খেলোয়াড়দের অনুরোধে ম্যাচটি আবার শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উয়েফার পক্ষ থেকে নাকি দুই দলের খেলোয়াড়দের ওই রাতেই কিংবা পরদিন দুপুরে ম্যাচের বাকি অংশ শেষ করার একটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল।
সরসরি না বললেও ডেনিশ গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেলের কথাতেও পাওয়া যায় তারই ইঙ্গিত। এরিকসেনের ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়া খেলোয়াড়দের কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমাদের এমন একটি অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছিল যা ঠিক হয়নি।”
জ্ঞান হারিয়ে মাঠে লুটিয়ে আছেন ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন।
ফরোয়ার্ড মার্টিন ব্রাথওয়েট অবশ্য কোনো রাখঢাক না রেখেই উয়েফাকে একহাত নিয়েছেন। তার দাবি, তাদের মানসিক অবস্থা অগ্রাহ্য করেই ম্যাচটি শেষ করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। দুটির মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল, যার একটিও তাদের পক্ষে ছিল না।
“আমাদের সামনে দুটি বিকল্প ছিল। কোনটিই ভালো ছিল না। আমরা কম খারাপটা বেছে নিয়েছি। অনেকে খেলার মতো অবস্থায় ছিল না। মানসিকভাবে তারা ছিল বিচ্ছিন্ন।”
“তৃতীয় কোনো বিকল্প ভাবা উচিত ছিল।”
রোববার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাসপের স্মাইকেলের বাবা পিটার স্মাইকেল প্রশ্ন তুলেছেন ম্যাচটি পুনরায় শুরুর ভাবনা নিয়েই।
“এমন ভয়ংকর একটা ঘটনা ঘটল। আর উয়েফা কি-না খেলোয়াড়দের এখন মাঠে নামো, নয়তো রোববার দুপুর ১২ টায় খেলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নিতে বলল।”
আগামী বৃহস্পতিবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক।
