বদলি নেমে বলে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল করার আনন্দে ডানা মেললেন আরিফুল ইসলাম। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল সাইফ স্পোর্টিং।
Published : 29 Dec 2020, 07:14 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে সাইফ। ৫৬তম মিনিটে জন ওকোলির বদলি নেমে গোলটি করেন আরিফুল।
টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাইফ। উত্তর বারিধারাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করা পল জোফেস পুটের দল দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৬-১ ব্যবধানে।
সাইফের জয়ে অপেক্ষা ফুরিয়েছে আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়কে ৩-০ গোলে হারানো উত্তর বারিধারার। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে উঠেছে তারা।
এক জয় ও দুই হারে তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে আরামবাগ। তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে ব্রাদার্স।
শুরু থেকেই আরামবাগের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় সাইফ স্পোর্টিং। দ্বিতীয় মিনিটে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমানুয়েল আরিয়াচুকুর হেড ফেরান গোলরক্ষক। চতুর্থ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওকোলির শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর সামনে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান স্মিথের হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে সাইফ স্পোর্টিং। রেফারির সাড়া মেলেনি।
২০তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ওকোলির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটে ইমরান হোসেন রিমনের ক্রসে সাজ্জাদ হোসেনের ফ্লিকও খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
নকআউট পর্বে উঠতে জয়ের বিকল্প ছিল না আরামবাগের সামনে। কিন্তু প্রথমার্ধেই একাধিক সুযোগ নষ্ট করে হতাশা বাড়ায় দলটি। ২২তম মিনিটে সাইফের ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান চিজোবা ক্রিস্টোফার; তবে নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট জমে যায় পাপ্পুর গ্লাভসে। একটু পর আবারও রক্ষণের ভুলে বল পান রাসেল মুন্সি; তিনিও শট নেন গোলরক্ষক বরাবর।
৫৬তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরোয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। বাঁ দিক থেকে আরিফুলের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায়।
শেষ দিকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে ক্রিস্টোফার তার বরাবর শট নিলে এবং অ্যাডামস স্যাডিকের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে হারের হতাশা নিয়ে বিদায় নেয় ২০১৬ সালের রানার্সআপ আরামবাগ।