ফুটবল দক্ষতায় যেমন, তেমনি মাঠের ভেতরে-বাইরে আচরণ ও ব্যক্তিত্ব দিয়েও ক্যারিয়ারজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন ইকের কাসিয়াস। বলা হতো, প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছেও তিনি ছিলেন পছন্দের একজন, প্রতিপক্ষরাও তাকে ভালোবাসত। বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার পর কাসিয়াসকে নিয়ে প্রশংসার জোয়ারেও যেন ফুটে উঠল সেই বাস্তবতা।
Published : 04 Aug 2020, 11:34 PM
বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের আনুষ্ঠানিক ইতি টেনেছেন কাসিয়াস মঙ্গলবার। এরপর অসাধারণ ক্যারিয়ারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানান ফুটবল তারকাদের অনেকেই।
কাসিয়াসের সমসাময়িক আরেক কিংবদন্তি গোলকিপার, সময়ের সেরা গোলকিপার হিসেবে যার সঙ্গে তুলনা হতো প্রায়ই, সেই জানলুইজি বুফফনের প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠল দুজনের লড়াই ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার গল্প।
“লোকে বলে, প্রতিদ্বন্দ্বীতাই অন্যদের চেয়ে আমাদের ভালো করে তোলে, তবে আমাদের দুজনের ক্ষেত্রে সেটি পুরোপুরি খাটে না। হয়তো নিখুঁত হওয়ার নিরন্তর সাধনাই আমাদের আজকের অবস্থানে তুলে এনেছে। ধন্যবাদ ইকের, তোমাকে ছাড়া এই সবকিছুই হতো কম অর্থবহ।”
“জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের জন্য তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি।”
রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার মার্কো আসেনসিও টুইটারে লিখেছেন, “এতটা আনন্দ উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা, কিংবদন্তি।”
যে ক্লাবের হয়ে সবশেষ খেলে বিদায় জানালেন কাসিয়াস, সেই পোর্তোতে তার সঙ্গে খেলেছেন অলিভার তরেস। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিজেকে মনে করছেন সৌভাগ্যবান।
“তোমার সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে পেরে গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। আমার জন্য এটা বড় সম্মান। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ, কিংবদন্তি।”
সেই ৯ বছরের বয়সে রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবে এসেছিলেন কাসিয়াস। ক্লাবের একাডেমি হয়ে যুব দল মাতিয়ে জায়গা করে নেন মূল দলে। সবচেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী গোলকিপার হওয়ার কীর্তি গড়ে ছুটে চলতে থাকেন সামনে। গোলবারের আস্থা থেকে একসময় হয়ে ওঠেন ক্লাবের একরকম প্রতীক। এই ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৯টি শিরোপা। বিদায়বেলায় রিয়াল মাদ্রিদও আবেগঘন বার্তা দিল কাসিয়াসের জন্য।
“আমাদের ক্লাবের ১১৮ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের একজন আজ পথচলার ইতি টানলেন। এমন একজন ফুটবলার, যাকে আমরা ভালোবাসি, সম্মান করি। নিজের কাজ দিয়েই তিনি ক্লাবের ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ করেছেন। মাঠের ভেতরে-বাইরে যার আচরণ অনুকরণীয়।”