রঙ-তুলির শিল্পী কারাতের সোনাজয়ী! গত এসএ গেমসে কারাতের কুমিতে সোনা জিতে সত্যিই সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্রী মারজান আক্তার প্রিয়া। করোনাভাইরাসের ছোবলে ঘরবন্দি সময়ে কারাতে নিয়ে ব্যস্ততা নেই প্রিয়ার। প্রিয় রঙ-তুলি নিয়ে মেতে থাকার কথাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন প্রথম পর্ষে পড়া এই ছাত্রী।
Published : 08 Apr 2020, 11:57 AM
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশে সব খেলাধুলা স্থগিত হয়ে আছে। প্রিয়ার কারাতের অনুশীলন, চিত্রাঙ্কনের ক্লাসও বন্ধ। এই অখণ্ড অবসর যেন কাটতেই চাইছে না তার।
“আমরা যারা অ্যাথলেট, তাদের তো বেশ খানিকটা সময় অনুশীলনের জন্য বাইরে কাটে। এখন তো বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। কখনও ফোনে, কখনও টিভির সামনে বসে, বাসার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে, ছবি এঁকে সময় কাটছে।”
“কখনও বাবাকে, কখনও ভাইকে বসিয়ে রেখে ছবি আঁকছি। কোচদের ছবি থেকে ছবি আঁকছি। আমার বিড়াল আছে, বাসায় একটার বেশি পোষার অনুমতি নেই, ওর ছবিও আঁকছি। এগুলো করেই আপাতত সময় কাটছে আরকি।”
কারাতে ইনডোর গেমস বলে ঘরেও অনুশীলন করা সম্ভব। কিন্তু প্রতিপক্ষ না থাকায় টেকনিক্যাল দিকগুলোর অনুশীলন হচ্ছে না। ঘরে শুধু ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানালেন প্রিয়া।
“ফিটনেসও ওভাবে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমি যতই বলি ঘরের মধ্যে ফিটনেস ধরে রাখার অনুশীলন করব কিন্তু রুটিন মেনে একদম টাইম টু টাইম সেটা আসলে করা সম্ভব হচ্ছে না।”
“কারাতে যদিও ইনডোর গেমস কিন্তু আমরা যেহেতু ফাইটের খেলোয়াড়, সেহেতু আমাদের অনুশীলনে একজন পার্টনার বা প্রতিপক্ষ লাগে। তা না হলে টেকনিক ও টাইমিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো অনুশীলন করা যায় না। ফিটনেস ট্রেনিং করছি কিন্তু টেকনিকের দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু করার নেই।”
বর্তমান বাস্তবতা মেনে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন নেপালের প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সোনা জেতা প্রিয়া।
“এ মুহূর্তে ঘরে থাকাই আমার ও সবার জন্য নিরাপদ। কষ্ট হলেও সবাই আমার মতো ঘরে থাকুন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশনা মেনে চলুন।”