লিগে দুই দলের সবশেষ দ্বৈরথের উল্টো মঞ্চায়ন হলো। আগেরবার ছড়ি ঘুরিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার দাপট দেখাল আবাহনী লিমিটেড। নতুন বছরে ঐতিহ্যবাহী দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াইয়ে দাপুটে জয় পেয়েছে মারিও লেমোসের দল।
Published : 04 Mar 2020, 07:38 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার মোহামেডানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। প্রথমার্ধেই তিন গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া লেমোসের দল দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে মধুর প্রতিশোধ নেওয়া নিশ্চিত করে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে লিগে নিজেদের প্রথম দেখায় ৩-০ গোলে জিতেছিল আবাহনী। জুলাইয়ে ফিরতি দেখায় ৪-০ ব্যবধানের দাপুটে জয় পেয়েছিল মোহামেডান।
শুরু থেকেই আক্রমণে মোহামেডানকে কাঁপিয়ে দেয় আবাহনী। দ্বিতীয় মিনিটে সানডে চিজোবার বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান মাজহারুল ইসলাম হীমেল।
এরপর একের পর এক গোল হজম করে খেই হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। সপ্তদশ মিনিটে মামুনুল ইসলামের কর্নারে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট লাফিয়ে উঠে হেডে জাল খুঁজে নেন। বঙ্গবন্ধুর গ্যালারিতে আসা হাজারখানেক আবাহনী সমর্থক উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
২৪তম মিনিটে হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্নারে মোহামেডানের ওব মোনেকের হেড উপরের জাল কাঁপায়। ৩৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে বেলফোর্টের বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিরগিজস্তানের ফরোয়ার্ড এডগার বের্নহার্ট।
চার মিনিট পর মোনেকের শট ফিস্ট করে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে মোহামেডান সমর্থকদের হতাশা আরও বাড়ান গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ৪২তম মিনিটে বের্নহার্টের বাড়ানো বলে চিজোবা ডামি করে পৌঁছে দেন দূরের পোস্টে থাকা বেলফোর্টের কাছে। জোরালো শটে চোখের পলকে জাল খুঁজে নেন হাইতির ফরোয়ার্ড।
৭৬তম মিনিটে সুলেমানে দিয়াবাতের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর মালির এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট পোস্টে লেগে ফিরলে সান্ত্বনার গোলের দেখাও পায়নি মোহামেডান।
দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে ২-১ গোলে হারায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
সাইফ স্পোর্টিং, বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর পয়েন্ট ১০ করে। চার ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া মোহামেডানের পয়েন্ট ৬।