সাঁ-দেনিতে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগাল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি খেলতে নামবে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিতে পারেনি পর্তুগাল। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই ড্র করে সেরা চারটি তৃতীয় স্থানের দলের একটি হয়ে নক-আউট রাউন্ডে উঠে পর্তুগাল। শেষ ষোলোতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জেতে অতিরিক্ত সময়ের গোলে। আর কোয়ার্টার-ফাইনালে পোল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে উঠে শেষ চারে।
৩ গোল নিয়ে যৌথভাবে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও নিজের ছায়া হয়েই আছেন পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদো। তবে পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জেতানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামবেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা এই ফরোয়ার্ড।
ভারতের দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াতে এক কলামে মারাদোনা লেখেন, “বড় ম্যাচগুলোয় কৌশলই সব নয়। খুব করে কিছু চাওয়া বড় অনুপ্রেরণা। ৩১ বছর বয়সে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল খেলা রোনালদো আন্তর্জাতিক সাফল্য পাওয়ার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর পাবে না। সে যতটা মরিয়াভাবে চাইছে এটাই ফ্রান্সের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে।”
“ফ্রান্স যেমন সিআর৭-কে সামলানোর কথা ভাবছে, পর্তুগালও এজি ৭-কে (অঁতোয়ান গ্রিজমানের জার্সির নম্বরও ৭) নিয়ে সতর্ক থাকবে। গ্রিজমানের ছোঁয়াগুলো সুন্দর, অসাধারণ একটি বাঁ পা আছে তার এবং তার ৬ গোল টুর্নামেন্টেকে আলোকিত করেছে।”
ফ্রান্স যেমন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করে নিয়েছে, পর্তুগাল তেমনি ফাইনালের আগে বাড়তি এক দিন বিশ্রাম পেয়ে উজ্জীবিত থাকবে বলে মনে করেন আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো মারাদোনা।
ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পল পগবার প্রশংসা করে মারাদোনা লেখেন, “পর্তুগালকে চাপে রাখার জন্য মাঝমাঠ ও আক্রমণে তাদের সম্পদ আছে।”