এএফসি কাপের মূল পর্বের ‘ই’ গ্রুপে চোখ বোলালেই দেখা যাচ্ছে দুই দলের ব্যবধান। চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র নিয়ে সেরা ষোলোর পথে এগুচ্ছে ট্যাম্পাইন রোভার্স। অন্য দিকে টানা চার ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব হার এড়াতে পারলেই খুশি।
Published : 25 Apr 2016, 06:06 PM
আগামী মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ট্যাম্পাইন রোভার্স কোচ সুন্দ্রাম মুর্থি ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফেরার লক্ষ্য জানান আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে। শেখ জামাল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক জানান, ঘরের মাঠে মান বাঁচিয়ে এক পয়েন্ট পেলেই খুশি থাকবেন তিনি!
মামুনুল ইসলামসহ আট ফুটবলার হারানোর পর এখনও ঠিকঠাক গুছিয়ে উঠতে পারেননি ঘরোয়া ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। বাছাই পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটির এএফসি কাপের মূল পর্বে এসে পথ হারানোর শুরুও সেই থেকে। টানা চার হারে সেরা চারে ওঠার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেছে এরই মধ্যে; এখন লক্ষ্য শুধু মান বাঁচানোর। সেটাও কঠিন হয়ে পড়েছে চোটের হানায়।
নির্ভরযোগ্য তিন ফরোয়ার্ডের মধ্যে দুই জন এমেকা ডারলিংটন ও ওয়েডসেন আনসেলমে চোটে ভুগছেন। সেলানগোর এফএর বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় এ ম্যাচে নেই রক্ষণভাগের ভরসা ইয়াসিন খান। মাঝ মাঠের সেনানি জামাল ভূইয়াকে পাওয়ার আশাও নেই। দাপটের সঙ্গে স্বাধীনতা কাপের সেমি-ফাইনালে উঠলেও দলের বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যায় অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে কোচ মানিকের কণ্ঠে।
“বাস্তবতার আলোকে কিছু কথা বলতেই হয়, আমাদের এএফসি কাপে অনেক স্বপ্ন ছিল; কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যে পদক্ষেপ দরকার ছিল সেগুলো করতে পারেনি। খেলোয়াড় সংকট, চোট আছে। যে খেলোয়াড়দের নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল, তারা এ মুহূর্তে অন্য ক্লাবের ক্যাম্পে আছে। এ কারণে আমরা পর্যাপ্ত খেলোয়াড় পাইনি। মালয়েশিয়াতে আমি ১৪ জন প্লেয়ার নিয়ে গেছি। কালকের ম্যাচেও একই দশা।”
সিঙ্গাপুরের ঘরোয়া লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ট্যাম্পাইনের মাঠে এএফসি কাপের প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল শেখ জামাল। ঘরের মাঠে সেই হারের পুনরাবৃত্তি রুখতে আবাহনী লিমিটের কাছে ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজুকে ‘ধার’ চেয়েছেন মানিক।
“তপু বর্মন আছে। জুয়েল ও রাজুর রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছিলাম আমরা। এ দুজনকে তাদের ক্লাবের কাছে চেয়েছি। রাজু চোটে থাকায় এতদিন ডাকিনি। কিন্তু সে স্বাধীনতা কাপে সর্বশেষ ম্যাচে খেলেছে। আমরা আশাবাদী কালকের ম্যাচে এদের পাব।”
এত সমস্যা নিয়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছেন না মানিক।
“আমি এক পয়েন্ট পেলে খুব খুশি হবো। তবে নির্দিষ্ট দিনে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই মূখ্য। তারপরও আমি আশা করি, ছেলেরা চেষ্টা করবে।”
সেরা একাদশ সাজানো নিয়ে যেখানে মানিকের গলদঘর্ম অবস্থা, তখন উল্টো মেরুতে ট্যাম্পাইন কোচ মুর্থি। চোট সমস্যা সে অর্থে নেই; সম্ভাব্য সেরা যোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশের আসার কথা জানালেন তিনি। নিজেদের মাঠে খেলা প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও জয় পাওয়ার লক্ষ্যটা আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানালেন অতিথি দলের কোচ।
“সিঙ্গাপুরে তাদের প্রথম ম্যাচে দেখেছিলাম টুর্নামেন্টের শুরুতে তারা খুব প্রস্তুত ছিল না। এর সপ্তাহ দুয়েক পর দেখলাম, তারা অনেক ভালো খেলছে। উন্নতি করেছে। এটা সহজ ম্যাচ হতে যাচ্ছে না। ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিন পয়েন্ট চাই আমরা।”