ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
যোগ করা সময়ের দশম মিনিটে গোল করে স্কটল্যান্ডকে হারাল হাঙ্গেরি।
Published : 24 Jun 2024, 03:09 AM
নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধের পর ম্যাচের শেষ দিকে উত্তাপ ছড়াল বেশ। একেবারে শেষ মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের জালে বল পাঠাল হাঙ্গেরি। নাটকীয় জয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল তারা।
স্টুটগার্টে রোববার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে হাঙ্গেরি। ৮৬তম মিনিটে বদলি নেমে যোগ করা সময়ের দশম ও শেষ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন কেভিন চোবোথ।
একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র করে, ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে জার্মানি। ৫ পয়েন্ট নিয়ে জার্মানদের সঙ্গে শেষ ষোলোয় উঠেছে সুইসরা।
প্রথম দুই ম্যাচে হারা হাঙ্গেরি এবারের জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে। চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে নকআউটে যাওয়ার আশায় রয়েছে তারা।
আসরে ছয় গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল যাবে নকআউটে। সঙ্গে গ্রুপে তৃতীয় হওয়া সেরা চার দল পাবে শেষ ষোলোর টিকেট।
১ পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। এখন পর্যন্ত আটবার বিশ্বকাপ ও চারবার ইউরোতে খেলে প্রতিবারই গ্রুপ পর্বে থেমে গেল তাদের অভিযান।
প্রথমার্ধে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দেয় স্কটল্যান্ড। এই সময়ে গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষেও প্রথমার্ধে একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের। এই দুটি ছাড়া আসরে এখন পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচে এমনটা হয়নি।
প্রথমার্ধে যা একটু আক্রমণে উঠতে পারে শুধু হাঙ্গেরি। তাদের পাঁচ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। অষ্টম মিনিটে সেই প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হাঙ্গেরি অধিনায়ক দমিনিক সোবোসলাইয়ের ক্রসে উইলি অর্বানের একটি হেড ক্রসবারে লাগে, যদিও তিনি অফসাইডে ছিলেন।
৫৩তম মিনিটে প্রথম গোলের জন্য শট নিতে পারে স্কটল্যান্ড। তবে বক্সের বাইরে থেকে চে অ্যাডামসের শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
৬৮তম মিনিটে বক্সে স্কটল্যান্ডের গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন হাঙ্গেরির ফরোয়ার্ড বার্নাবাস ভার্গা। খেলা বন্ধ থাকে অনেকটা সময়। মাঠে চিকিৎসার পর স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ভার্গাকে।
৭৯তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পান খানিক আগেই বদলি নামা স্কটল্যান্ডের স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রং। সতীর্থের পাস বক্সে পান তিনি, কিন্তু প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের ট্যাকলে পড়ে যান এই মিডফিল্ডার। পেনাল্টির জোরাল আবেদন করলেও রেফারির সাড়া মেলেনি।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে আন্দ্রাসের শট ঠেকান স্কটিশ গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সোবোসলাইয়ের শটও ব্যর্থ করে দেন তিনি।
পরের মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি হাঙ্গেরি। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে চোবোথের নেওয়া শট দূরের পোস্টে লাগে।
শেষ মিনিটে স্কটল্যান্ডের একটি কর্নার রুখে দিয়ে আক্রমণে ওঠে হাঙ্গেরি। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কাট-ব্যাক করেন রোলান্দ সালাই, আর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শটে দলকে উল্লাসে ভাসান চোবোথ।