উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
সরাসরি গোলাম রব্বানী ছোটনের নাম উল্লেখ না করলেও ভুটান ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের বর্তমান কোচ।
Published : 26 Oct 2024, 05:16 PM
বাংলাদেশ দলের অন্দরমহলের অস্থিরতা যেন কাটছেই না। উত্তপ্ত পরিস্থিতি এই ঠাণ্ডা হচ্ছে, তো পরের দিন ফের গরম হয়ে উঠছে সবকিছু। এবার যেমন, ভুটানের বিপক্ষে উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনাল সামনে রেখে সাফ জয়ী সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির গুরুতর অভিযোগ করলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলার!
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রোববার ভুটানের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সামনে রেখে শনিবার আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে প্রস্তুতি নিয়েছে দল। অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বাটলার; তার অভিযোগের তির মূলত ছোটনের দিকে।
“ভুটানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ওরা উন্নতি করেছে। আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে, বল নিজেদের পায়ে রাখতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সেমি-ফাইনালে ওঠা ভুটানকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে হবে। এটা টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল দিক থেকে নয়; কেননা, আমি মনে করি, এই দুই দিকেই আমরা ভালো।”
“আমরা উন্নতি করছি। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মনোযোগ ধরে রাখা, যেটা কঠিন…আমি এটা নিয়ে আজ বলব। কঠিন, কেননা যারা বাফুফের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সাবেক কোচেরা, তারা (দলকে) বিরক্ত, প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে এবং মেয়েদেরকে পুরোপুরি অসত্য তথ্য দিচ্ছে। আমি মনে করি, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
ছোটনের হাত ধরে গতবার ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়ে হয়েছিল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফের মুকুট জয়ের কারিগর ছোটনের নাম উল্লেখ না করলেও বাটলার ক্ষোভ উগরে দিলেন।
“আমি জানি না, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতাবোধ বা ঈর্ষাবোধ আছে কিনা। আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতিতে একটা দল গোছানোর চেষ্টা করা কঠিন। যেখানে একটা টুর্নামেন্টে আমরা ফাইনাল খেলার দিকে আছি, এমন সময় এটা করা ঠিক না। একেবারেই অপেশাদার বিষয় এটি।”
যার বিরুদ্ধে বাটলারের এত অভিযোগ সেই ছোটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, তার বিরুদ্ধে ইংলিশ কোচের অভিযোগ মোটেও সত্য নয়।
“দেখুন, আমার এই দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কোচের চাকরি ছাড়ার পর থেকে বাফুফে ভবনে যাই না, আমার সাথে তো ওদের দেখাও হয় না। এখন কেউ যদি ম্যাচের আগে আমাকে ফোন দিয়ে দোয়া চায়, তাহলে কি আমি দোয়া করব না? কথা বলব না? এখন তিনি (বাটলার) নিজের সমস্যা ঢাকতে এই কথাগুলো বলছেন। দলের মধ্যে সমস্যা কী, সেটা তো আর আমি জানি না।”