শুরুর দিকে খানিকটা এলোমেলো আর্সেনাল। ঘরের মাঠে ঠিক চেনা যাচ্ছিল না তাদের। তবে গুছিয়ে ওঠার পর তারা অপ্রতিরোধ্য। ছন্দময় ও আগ্রাসী ফুটবলের দারুণ প্রদর্শনীতে উড়িয়ে দিল এভারটনকে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তারা, ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এগিয়ে গেল ৫ পয়েন্টে। সেই ব্যবধানে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বুধবার এভারটনকে ৪-০ গোলে হারায় আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম গোলের দেখা পেতে তাদের লেগে যায় ৪০ মিনিট। বুকায়ো সাকা এগিয়ে নেন দলকে। প্রথমার্ধেই যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
৭১তম মিনিটে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগোর গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। মার্তিনেল্লি আরেকটি গোল করেন ৮০তম মিনিটে।
শিরোপার স্বপ্নে ছুটতে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ২৫ ম্যাচে ৬০, সমান ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৫৫।
ধুঁকতে থাকা এভারটন এখন পয়েন্ট তালিকায় তলানি থেকে আছে তিনে। প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথমবার রেলিগেশনের শঙ্কায় আছে তারা। আর্সেনালের মাঠে সবশেষ ২৭ ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ একটি। আর্সেনাল সেখানে ২০০৪ সালের পর প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর।
জয়টা তাই আর্সেনালের প্রত্যাশিতই ছিল। তার পরও শুরুর জড়তা পেরিয়ে দল যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে, তাতে তৃপ্ত কোচ মিকেল আর্তেতা।
“এই জয়ে আমি উচ্ছ্বসিত, বিশেষ করে প্রথম ২৫ মিনিটের পর আমরা যেভাবে খেলেছি। শুরুর দিকে কিছুটা কঠিন ছিল আমাদের জন্য। প্রথম গোলটি করার পর দুয়ার খুলে যায়।”
“আমাদের একটি জাদুকরি মুহূর্ত প্রয়োজন ছিল এবং সাকা সেই মুহূর্তটি এনে দেয়। সেখান থেকে আমরা ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেই। জয়টা আমাদের প্রাপ্যই ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছি এবং আরও গোল করতে পারতাম।”
শিরোপার লড়াইয়ে তাদের মূল প্রতিপক্ষ যারা, সেই সিটির কাছের ঘরের মাঠে হারার পর এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল আর্সেনাল। লিগের বাকি আছে আর ১৩ ম্যাচ। অনেক কিছু তাই এখনও বদলে যেতে পারে। লিগের এই পর্যায়ে প্রয়োজন দাপুটে পথচলা ধরে রাখা।
তবে আর্সেনালের মতো দল, যারা অনেকদিন সেরা সাফল্যের স্বাদ পায়নি, তাদের জন্য কাজটি কঠিন বলে মনে করেন আর্তেতা।
“এই ব্যাপারটি এমন যা আমাদের অনুশীলন করতে হবে, আলোচনা করতে হবে এবং নিজেদের সেভাবে গড়তে হবে। কাজটা সহজ নয়। অনেক সময় এটা আয়ত্ত করা যায় অভিজ্ঞতা থেকে।”
“কখনও কখনও ব্যবধান এরকম থাকবে, কখনও তিন পয়েন্টের, কখনও দুই পয়েন্ট, কখনও দুই পয়েন্টের ঘাটতি থাকবে…এরকম হবেই এবং সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।”