ফরাসি ফুটবল
অহংবোধের কারণে ফরাসি ক্লাব পিএসজি প্রায়ই মাঠের পারফরম্যান্সে ভুগত বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড।
Published : 17 Jan 2025, 04:32 PM
পিএসজিতে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের মধ্যে শুরুতে গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্কে ‘কিছুটা ফাটল’ ধরে লিওনেল মেসি ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ডের দাবি, মেসিকে ঈর্ষা করতেন এমবাপে।
২০১৭ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান এমবাপে। ওই বছরই ফুটবল ইতিহাসের ট্রান্সফার ফির বিশ্বরেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার।
বার্সেলোনা আর্থিক টানাপোড়েনে পড়লে ২০২১ সালে ‘ফ্রি এজেন্ট’ মেসিকে দলে নেয় পিএসজি। এরপর থেকেই নাকি এমবাপের আচরণে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান গ্রেট রোমারিওর সঙ্গে এক পডকাস্টে সম্প্রতি কথা বলেন নেইমার, যা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। সেখানে রোমারিও জিজ্ঞাসা করেন, এমবাপে বিরক্তিকর ছিল কিনা, সেটার উত্তরেই এসব তুলে ধরেন নেইমার।
“না, সে ওরকম ছিল না। তার সঙ্গে আমার কিছু বিষয় ছিল, সামান্য মনোমালিন্যও হয়েছিল। তবে সে আমাদের ভিত্তি ছিল, আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। সবসময় তার সঙ্গে খেলতাম। তাকে বলতাম, সে বিশ্ব সেরাদের একজন হবে। সবসময় তাকে সাহায্য করতাম, অনেক কথা বলতাম, সে আমার বাড়িতে আসত, আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খেতাম।”
“আমরা জুটি গড়ে ভালো কয়েকটি বছর কাটিয়েছি। কিন্তু মেসি আসার পর সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে…আমাদের মধ্যে লড়াইও হয়, তার আচরণে পরিবর্তন আসে।”
মেসি, নেইমার ও এমবাপেকে নিয়ে গড়া ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগ নিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি পিএসজি। এর পেছনে দলের মধ্যে তৈরি হওয়া অহংবোধকে দায় দিয়েছেন নেইমার। তবে এক্ষেত্রে কারো নাম বলেননি তিনি।
“অহংবোধ থাকা ভালো; কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে, একা খেলা যায় না। পাশে আরেকজনকে দরকার পড়বে। (দলে) প্রায় সব জায়গায়ই অহংবোধ ছিল, এভাবে কোনো কিছুই ঠিকঠাক হতে পারে না। কেউ যদি না দৌড়ায় এবং কেউ সাহায্য না করে, তবে কোনো কিছুই জেতা অসম্ভব।”
ওই তিনজনের কেউই এখন আর পিএসজিতে নেই। ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন মেসি। চলতি মৌসুম শুরুর আগে তার স্বপ্নের ক্লাব রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপে। আর নেইমার পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে।