ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
লিগ টেবিলে আগের অবস্থানেই রইল হুবেন আমুরির দল।
Published : 27 Apr 2025, 09:09 PM
নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা ৯ মিনিটের তখন আর মিনিট তিনেক বাকি। বোর্নমাউথের বিপক্ষে আরেকটি হারের শঙ্কা দিচ্ছিল উঁকি। সেই সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিবিরি স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিলেন গাসমুস হয়লুন। একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরল হুবেন আমুরির দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইউনাইটেড। এন্টোয়ান সেমেনিওর গোলে স্বাগতিকরা শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ মুহূর্তে সেটা শোধ করে দেন হয়লুন।
গত বড়দিনের আগের শেষ ম্যাচে এই বোর্নমাউথের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের ভরাডুবি হয়েছিল ইউনাইটেডের। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে না পারলেও, লিগে টানা দুই হারের পর অন্তত পয়েন্ট পেল দলটি।
অবশ্য প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের জয়শূন্য পথচলা দীর্ঘ হলো আরও, এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায়নি তারা। ৩৪ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে আছে আছে দলটি।
৫০ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে বোর্নমাউথ।
মৌসুমজুড়ে মাঠের সবখানেই বারবার ছন্নছাড়া রূপে ধরা দিচ্ছে ইউনাইটেড। এবার শুরুতেই যেমন রক্ষণে হাস্যকর ভুলে গোল হজম করে তারা। যেখানে বিপদের কোনো শঙ্কা ছিল না, সেখানেই নিজেদের সীমানায় বল হারিয়ে ফেলেন ডাচ ডিফেন্ডার পাত্রিক ডগু। এরপর দুই সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ঘানার ফরোয়ার্ড সেমেনিও।
ওভাবে গোল হজম করে যেন হুঁশ ফেরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি ইউনাইটেড। প্রথমার্ধেই কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে তারা। সেরা সুযোগটি পান আলেহান্দ্রো গার্নাচো; কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তার একটু লাফিয়ে নেওয়া শট দারুণ নৈপুণ্যে হাত বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক।
৬০তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে আরেক গোল হজম থেকে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। দুরূহ কোণ থেকে স্বাগতিক ফরোয়ার্ড দাঙ্গোর শট পোস্টে বাধা পায়। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল, তবে পারেনি তারা কাজে লাগাতে।
মিনিট দশেক পর বড়সড় একটা ধাক্কা খায় বোর্নমাউথ। ইউনাইটেড ডিফেন্ডার নুসায়ার মাজরাউইকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভানিলসন।
দলে একজন বেশি থাকায় সফরকারীদের সামনে আসে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ সুযোগ। অবশেষে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায় তারা। ডি-বক্সে মানুয়েল উগার্তের লক্ষ্যে নেওয়া শটেই আলতো করে পা ছুঁয়ে দেন ডাচ ফরোয়ার্ড হয়লুন, গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় ঠিকানায়।