রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জোসে মরিনিয়োর মতে, ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বেনজেমা খেলেন দলের জন্য।
Published : 18 Oct 2022, 11:21 AM
দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার পথে নিজেকে উজাড় করে দিলে ব্যক্তিগত অর্জন ধরা দেয় আপনাআপনিই। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ব্যালন ডি’অর জেতা করিম বেনজেমার ক্ষেত্রে তেমনটাই মনে করছেন জোসে মরিনিয়ো। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই কোচের মতে, নিজের চেয়ে দলের সাফল্যে বেশি আছন্ন বেনজেমা।
গত মৌসুমে জাদুকরী পারফরম্যান্স উপহার দেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বেনজেমা। সঙ্গে ফ্রান্সের হয়েও খেলেন দুর্দান্ত। প্যারিসে সোমবার রাতে জমকালো অনুষ্ঠানে এই ফরোয়ার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার, ব্যালন ডি’অর ২০২২।
২০২১-২২ মৌসুমে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল বেনজেমার। ১৫ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ১০টিই করেন নকআউট পর্বে। একের পর এক ম্যাচে রিয়ালের রূপকথার প্রত্যাবর্তনের নায়ক ছিলেন তিনি।
শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার-ফাইনালে ফরাসি তারকার হ্যাটট্রিকেই পিএসজি ও চেলসিকে বিদায় করে দেয় মাদ্রিদের দলটি। সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটিও তারই করা।
গতবার রিয়ালের লা লিগা জয়েও বড় অবদান রাখেন বেনজেমা, করেন আসরের সর্বোচ্চ ২৭ গোল। এছাড়া ক্লাবের স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পথে তিনি একবার করে জালের দেখা পান সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে। মাদ্রিদের দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে করেন ৪৪ গোল।
এই সময়ে সময়ে জাতীয় দলেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেন বেনজেমা। গত বছরের অক্টোবরে ফ্রান্সের নেশন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। চার দলের ফাইনালসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেন একটি করে।
মৌসুম জুড়ে দারুণ সব পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার স্বীকৃতিও পেয়ে গেলেন বেনজেমা। তার হাত ধরে দুই যুগের অপেক্ষার অবসান হলো ফ্রান্সেরও। ১৯৯৮ সালে জিনেদিন জিদানের পর ব্যালন ডি’অর জেতা প্রথম ফরাসি ফুটবলার তিনি। কিংবদন্তি জিদানই তার হাতে তুলে দেন পুরস্কারটি।
বেনজেমার এমন অর্জনে উচ্ছ্বসিত ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়ালের কোচ হিসেবে কাজ করা মরিনিয়ো। ২০০৯ সালে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে যোগ দেওয়া ফরাসি ফরোয়ার্ডকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার। দলের সাফল্যের জন্য কতটা মরিয়া বেনজেমা, সেটাই ফুটে উঠল মরিনিয়োর কথায়।
“করিম দারুণ এক চরিত্র, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, দলের প্রতি অন্তপ্রাণ। সে নিজের প্রতি, ব্যালন ডি’অরের প্রতি মোহাবিষ্ট নয়। সে অন্য সবার চেয়ে বেশি গোল করার জন্য মুখিয়ে থাকে না।”
“সে কেবল দলের জন্য খেলে। এই পথচলায় অনেক কিছু করে সে, যার ফলে ব্যালন ডি'অর স্বাভাবিকভাবে চলে আসে। আমার কাছে মনে হয়, সে এমন একজন যে দলের সাফল্যে আছন্ন।”