প্যারিস অলিম্পিকস
প্রিয় রোলাঁ গাঁরোতে শেষবার কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না রাফায়েল নাদাল; চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান আরও ভেবেচিন্তে।
Published : 01 Aug 2024, 03:07 PM
বয়সের ভার বেড়েছে, শরীর বেঁকে বসেছে, পারফরম্যান্সের দ্যুতিও নেই আগের মতো। যে রোলাঁ গাঁরো দিয়েছে মুঠোভরে, সেখান থেকে এবার শুন্য হাতে ফিরলেন রাফায়েল নাদাল। তবে প্যারিস অলিম্পিকস হতাশায় কাটলেও এই স্প্যানিয়ার্ড নিশ্চিত নন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তিন দিন আগেই টেনিসের পুরুষ এককের দ্বিতীয় রাউন্ডে পথচলা থামে নাদালের। সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচের কাছে পাত্তাই পাননি ওই ম্যাচে। ৬-১, ৬-৪ গেমে স্রেফ উড়ে যান খড়কুঁটোর মতো।
টেনিসের দ্বৈতেও প্রিয় রোলাঁ গাঁরোর আঙিনায় জ্বলে উঠতে পারলেন না নাদাল। কার্লোস আলকারাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন-রাজীভ জুটির বিপক্ষে হেরেছেন সরাসরি সেটে, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে।
প্যারিসেই রেকর্ড ১৪ বার ফরাসি ওপেনের ট্রফিতে চুমু এঁকেছেন নাদাল। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকসে সোনা জয়ী এবার প্যারিসে নোঙর ফেলেছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ের হতাশা পেছনে ফেলে কিছু প্রাপ্তির আশায়। কিন্তু একক, দ্বৈত থেকে ‘ক্লে কোর্ট সম্রাট’ ফিরলেন শুন্য হাতে।
বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে ফের উচ্চকিত হয়েছে প্রশ্নটি-প্যারিসে এটাই শেষ কিনা? ৩৮ বছর বয়সী নাদাল অবশ্য এখনও দোটানায়।
“এখানে যখনই কোর্টে নামি, সবসময় যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পাই, তাতে আমি উচ্ছ্বসিত। আমি জানি না, এখানে এটাই শেষ খেলতে নামা কিনা।”
“হয়ত হ্যাঁ (এটাই শেষ)। তবে একটা ধাপ শেষ হলো আমার জন্য। আমার লক্ষ্য ছিল অলিম্পিকস গেমসে মনোযাগ দেওয়া এবং এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া; এখন সেটাই করব। এখন বাড়ি ফিরব, বিশ্রাম নিব এবং সবকিছু থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন থাকব। যখন মনটা শান্ত হবে, তখন সিদ্ধান্ত নিব, আমার জন্য পরের পদক্ষেপটা কী হবে।”