বায়ার্ন মিউনিখকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে তুলতে পেরে ভীষণ খুশি জার্মান এই কোচ।
Published : 18 Apr 2024, 04:43 PM
চলতি মৌসুম শেষে বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় বলবেন টমাস টুখেল। সে হিসেবে বাভারিয়ানদের সাথে শেষ বিকেলের সময় কাটছে তার। যেখানে বুন্ডেসলিগার মুকট খসে পড়ার হতাশা যেমন আছে, তেমনি আছে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার স্বস্তিও।
ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার জশুয়া কিমিখের চমৎকার গোলে আর্সেনালকে হারায় বায়ার্ন। দুই দলের প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় শেষ চারে জায়গা করে নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে প্রথম জার্মান কোচ হিসেবে তিনটি ভিন্ন দেশের ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে তুললেন টুখেল। ২০২০ সালে তার কোচিংয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফাইনাল খেলেছিল পিএসজি। পরের বছর পান তিনি শিরোপা জয়ের স্বাদ। তার কোচিংয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ট্রফি জেতে চেলসি।
গত বছর মার্চে ইউলিয়ান নাগেলসমানের উত্তরসূরি হিসেবে বায়ার্নের ডাগআউটে যোগ দেন টুখেল। কিন্তু তার কোচিংয়ে এবার বুন্ডেসলিগা শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি গত ১১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। দুর্দান্ত পথচলায় প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় বায়ার লেভারকুজেন।
গত নভেম্বরে জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেও বিদায় নেয় বায়ার্ন। একের পর এক ব্যর্থতায় চুক্তির এক বছর বাকি থাকতেই টুখেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় জার্মানির সফলতম ক্লাবটি।
শেষটা যতটা সম্ভব আনন্দময় করে তোলা ছাড়া আর কোনো পথ আপাতত খোলা নেই টুখেলের সামনে। তা তিনি কিছুটা করলেন ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকা দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে তুলে। বিদায়ের আগে ক্লাব, সমর্থকদের কিছুটা আনন্দ উপহার দিতে পেরেছেন বলেই মনে করছেন টুখেলও।
“সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া বিশাল এক পদক্ষেপ। শেষ চারে উঠতে পারা, বেশ মজার ছিল। দারুণ আনন্দের ও স্বস্তির। এই মুহূর্তগুলো স্পেশাল। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলোর একটিকে আমরা হারিয়েছি। দেখা যাক, এই জয় ক্লাবের জন্য কি বয়ে আনে। মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। বিশেষ করে, এখন তো নয়ই।”
আর্সেনাল ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞাস করা হয়, এই জয়ে কোনো তৃপ্তি অনুভব কিনা? এমন প্রশ্নে যেন বিরক্তিই ঝরল টুখেলের কণ্ঠে। বললেন, শুরুর দিনটির মতো শেষ দিন পর্যন্ত একই নিবেদন নিয়ে করে যাবেন নিজের কাজটুকু।
“সমালোচনা কোত্থেকে আসে? আপনারা, গণমাধ্যম থেকেই তো, আর এখন আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, আমি তৃপ্তি অনুভব করছি কিনা? যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রথম দিন থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েছি, শেষ দিন পর্যন্ত দিয়ে যাব।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ; যারা শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে।
ইউরোপ সেরার মুকুট ছয়বার জিতেছে বায়ার্ন। বিদায়ী টুখেলকে কোচিংয়ে আরেকবার সেই স্বাদ পাওয়ার আশা করতেই পারে তারা। এই কোচ তাকিয়ে আছেন সামনের সময়ের দিকে।
“সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত। দুই সপ্তাহ পর দেখব কি হয়।”