রানার্স আপ পদক গ্যালারিতে ছুড়ে মরিনিয়ো বললেন, ‘এটা আমার দরকার নেই’

ইউরোপা লিগের ফাইনালে হারার পর রোমা কোচ অকপটে জানিয়ে দিলেন, রানার্স আপ পদকের প্রতি কোনো টান নেই তার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2023, 05:31 AM
Updated : 1 June 2023, 05:31 AM

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে পরাজয়ের অভিজ্ঞতা আগে ছিল না জোসে মরিনিয়োর। এবার সেই তেতো স্বাদ পাওয়ার পর হতাশাটা লুকাননি রোমা কোচ। ইউরোপা লিগের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী আয়াজন শেষে নিজের রানার্স আপ পদক তিনি ছুড়ে দেন গ্যালারিতে। সেই পদক হাতে পেয়ে গ্যালারিতে বিশ্বজয়ের হাসি দেখা যায় এক কিশোরের মুখে। মরিনিয়ো পরে বলেন, এই পদকের প্রতি কোনো অনুরাগ তার নেই।

ইউরোপা লিগের ফাইনালে বুধবার নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে রোমাকে ৪-১ গোলে হারায় সেভিয়া।

এর আগে ৬ বার ইউরোপা লিগের ফাইনালে খেলে প্রতিটিতেই জয় ছিল সেভিয়ার। শতভাগ সাফল্যের সেই ধারা ধরে রেখে এবার তারা করল ‘সাতে সাত’। পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফাইনাল জয়ের পর থেমে গেল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে মরিনিয়োর অপরাজেয় যাত্রা।

পদক ছুড়ে দেওয়ার পর মুভিস্টারকে মরিনিয়ো সরাসরিই বললেন, “হ্যাঁ, এটাই আমি করেছি। সিলভার মেডেলের কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এটি আমি চাই না। রানার্স আপ পদক নিজের কাছে রাখি না। এজন্যই দিয়ে দিয়েছি।”

ম্যাচ হেরে হতাশ হলেও দলকে নিয়ে গর্বের কমতি নেই মরিনিয়োর। যদিও ৪০ ফাউল আর ১৪ হলুদ কার্ডের উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে তিনিও মেজাজ হারিয়েছেন বারবার। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে শতভাগ নম্বর দিচ্ছেন তিনি চেষ্টার জন্য। 

“শারীরিকভাবে আমরা অবসন্ন, মানসিকভাবে নিঃশেষিত। আমাদের মৃতপ্রায় লাগছে, কারণ বিতর্কিত অনেক ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত এই পরাজয় আমাদের কাছে অন্যায্য মনে হচ্ছে।”

“আমরা ক্লান্ত, তবে গর্বিত। আমি সবসময়ই বলি, একটা ফুটবল ম্যাচ হারা যায়, কিন্তু মর্যাদা ও পেশাদারিত্ব হারানো যায় না। এই ম্যাচ হেরেছি কিন্তু যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গর্ব নিয়ে ঘরে ফিরব। এই মৌসুমে ছেলেরা নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিয়েছে।”

তবে রোমা কোচ ছাড় দেননি রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে। ইংলিশ রেফারিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে।

“তীব্র লড়াই, পেশিশক্তির ও ঘটনাবহুল ম্যাচ ছিল এটি, যেখানে রেফারিকে মনে হয়েছে স্প্যানিশ। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন তিনি সবসময়। আমাদের ম্যাচে রেফারির এমন প্রভাবে আমরা অভ্যন্ত হয়ে গেছি, নতুন কছুই নয়। তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে তা আশা করিনি।”