প্যারিস অলিম্পিকস
প্রথম দুই রাউন্ডেই সরাসরি সেটে জিতলেন অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিততে মরিয়া নোভাক জোকোভিচ।
Published : 29 Jul 2024, 08:13 PM
বয়সের ভার, সঙ্গে বারবার চোটের ধাক্কায় সেরা সময়ের ধারেকাছেও ছিলেন না রাফায়েল নাদাল। তারপরও, লড়াইটা তার প্রিয় আঙিনা রোলাঁ গাঁরোয় হওয়ায় প্রত্যাশা ছিল কিছুটা। কিন্তু পারলেন না তিনি। একসময়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে বেশ সহজেই হারিয়ে অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্যারিস অলিম্পিকসে এগিয়ে গেলেন নোভাক জোকোভিচ।
টেনিস কোর্টে একসময়ের প্রবল প্রতিপক্ষ তারা। দুই জন মিলে গ্র্যানড্ স্ল্যামের এককে ৪৬টি শিরোপা জিতেছেন! মুখোমুখি নেমে উপহার দিয়েছেন কত না ধ্রুপদী লড়াইয়ের। তাদের এবারের লড়াইটা যদিও তেমন আহামরি কিছু হলো না। দাপুটে পারফরম্যান্সে ৬-১, ৬-৪ গেমে জিতে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন জোকোভিচ।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকসে সোনার পদক জিতেছিলেন নাদাল। ওই আসরেই জোকোভিচ জেতেন ব্রোঞ্জ। ক্যারিয়ারে রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেও, অলিম্পিকসে সোনার হাসি কখনও হাসতে পারেননি তিনি। বয়স হয়ে গেছে ৩৭, শরীরে চোটও থাবা দিতে শুরু করেছে। তাই এবারই হয়তো তার এই অপূর্ণতা পূরণের শেষ সুযোগ।
সেই লক্ষ্যে ভালোভাবেই ছুটছেন সার্ব তারকা। প্রথম দুই রাউন্ডেই সরাসরি সেটে জিতলেন তিনি।
পুরুষ এককে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন নাদাল, যার মধ্যে এই রোলাঁ গাঁরোর ফরাসি ওপেন জিতেছেন রেকর্ড ১৪ বার। তার ধারেকাছেও নেই কেউ। কিন্তু এবার প্রিয় এই ক্লে কোর্টে তেমন লড়াই-ই করতে পারলেন না ৩৮ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ড তারকা।
প্রথম সেটে বাস্তবিক অর্থেই কোনো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি নাদাল। দ্বিতীয় সেটেও পিছিয়ে পড়েন ০-৪ গেমে। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে, পরপর চার গেমে জিতে অবিশ্বাস্য কিছুর সম্ভাবনা জাগান তিনি। কিন্তু ওই পর্যন্তই, পরের দুই গেম জিতে জয় নিশ্চিত করেন জোকোভিচ।