কেভিন ডে ব্রুইনের দুর্দান্ত ক্রস থেকে শেষ সময়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে জিতিয়েছেন ম্যান সিটির তরুণ এই উইঙ্গার।
Published : 14 Jan 2024, 09:56 AM
শেষ সময়ের গোলে দলকে জেতানো যে কোনো ফুটবলারের জন্যই দারুণ কিছু। সেই গোলটি যদি করেন পায়ের নিচে জমিন খুঁজতে থাকা তরুণ কোনো ফুটবলার, তাহলে তার আনন্দ ছুঁতে চায় আকাশ। নিজের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে জিতিয়ে অস্কার বব এখন সেই উচ্ছ্বাসেই ভাসছেন।
নিউ ক্যাসলের বিপক্ষে শনিবার ম্যানচেস্টার সিটির ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ে আলো অনেকটুকু কেড়ে নিয়েছেন মূলত কেভিন ডে ব্রুইনে। চোট কাটিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার ম্যাচে অসাধারণ খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। বদলি নেমে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। এরপর একদম শেষ সময়ে তিনিই বানিয়ে দিয়েছেন ববের গোল।
তবে ম্যাচের যোগ করা সময়ে ডে ব্রুইনের দারুণ ক্রসের পরও কাজ অনেকটুকুই বাকি ছিল। বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পথেই দারুণভাবে এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়েছেন বব। এরপর চকিতে কাটিয়েছেন আগুয়ান গোলকিপারকে। পাশে থাকা আরও এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে তিনি বল পাঠিয়েছেন জালে।
২০১৯ সালে সিটির একাডেমিতে নিয়ে আসা হয় ববকে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয় গত সেপ্টেম্বরে। নিউ ক্যাসলের সঙ্গে ম্যাচ ছিল সিটির হয়ে তার সপ্তম ম্যাচ। তবে খুব বেশিক্ষণ খেলার সময় পাননি কখনোই। এই ম্যাচেও কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা তাকে মাঠে নামান ৮২তম মিনিটে। শেষ পর্যন্ত তিনিই দলকে জেতান প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার জালের দেখা পেয়ে।
গোলের পর ববের উদযাপনেই ফুটে উঠছিল তার আনন্দের মাত্রা। ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে তা উঠে এলো ২০ বছর বয়সী ফুটবলারের কণ্ঠেও।
“অসাধারণ অনুভূতি… বেঞ্চ থেকে দেখছিলাম, খুবই উত্তেজনার ম্যাচ ছিল। ম্যানেজার আমাকে বললেন, ‘যাও, নেমে গোল করো।’ সৌভাগ্যবশত আমি তা করতে পেরেছি।”
“আমার আজীবনের স্বপ্ন এটি (প্রিমিয়ার লিগে গোল করা) এবং দুনিয়ার সেরা দলের হয়ে তা করতে পারা… এটা আসলে ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, এই জয় তাদের জন্য।”
কেভিন ডে ব্রুইনের জাদুকরি পারফরম্যান্স দেখতে পারা তো গুয়ার্দিওলার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ মুগ্ধ ববের গোলে।
“অস্কারের গোলটি অসাধারণ মূলত যেভাবে বলটি সে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, সেই কারণে। প্রাক-মৌসুমে তার পারফরম্যান্স দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমাদের দ্বিতীয় দল (‘বি’ দল) থেকে যতটুকু জেনেছি, তাতে সে বিশেষ এক প্রতিভা।”
“কেভিনের পায়ে যখন বল থাকে… সে তো বিশ্বে অনন্য, তবে অস্কারের ফিনিশিং ছিল দুর্দান্ত। তার জন্য আমি খুবই খুশি।”