ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
উইলি সানিওল মনে করছেন, প্রত্যাশার চাপ না থাকায় ইউরোর নকআউটে উঠতে পেরেছেন তারা।
Published : 27 Jun 2024, 06:20 PM
ইউরোতে খেলতে পারাই যেখানে জর্জিয়ার বড় প্রাপ্তি, সেখানে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে তারা। প্রথমবার মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে দলটি গড়েছে ইতিহাস, জায়গা করে নিয়েছে নকআউট পর্বে। জর্জিয়া কোচ উইলি সানিওল মনে করছেন, প্রত্যাশার চাপ না থাকাতেই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার পর্তুগালের বিপক্ষে ২-০ গোলের স্মরণীয় জয় তুলে নেয় জর্জিয়া। সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে তারা।
জর্জিয়া দলে তারকা কোনো ফুটবলার নেই। তবে নিজেদের পরিকল্পনায় অটুট থেকে, সেটা মাঠে বাস্তবায়ন করে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেয় তারা। তুরস্কের বিপক্ষে হার দিয়ে আসর শুরুর পর চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ড্র করে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে দলটি। এরপর, অসাধারণ পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের ফেভারিটদের একটি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে দেয় জর্জিয়া।
বড় কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই এবারের ইউরোতে খেলতে এসেছিল জর্জিয়া। সানিওল বলছেন, প্রথমবার এখানে খেলতে পেরেই খুশি ছিলেন তারা। তবে লক্ষ্য ছিল প্রতিটা ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।
খুব বাজে টুর্নামেন্ট কাটালেও আক্ষেপ থাকত না জর্জিয়ার। সানিওলের মতে, তাদের কেবল একটাই লক্ষ্য ছিল, দেশের মানুষকে গর্বিত করা। সেটা করতে পেরেছেন বলেই মনে করছেন দলটির এই ফরাসি কোচ।
“ছোট দল হলে হারানোর কিছু থাকে না। টুর্নামেন্টের আগে আমরা শুধু এটাই বলেছিলাম যে, যা-ই ঘটুক না কেন, আসর শেষে আমরা কোনো আফসোস করতে চাই না, হয়তো নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে না পারা বা প্রতিযোগিতায় যতটা উপভোগ করা উচিত ছিল ততটা উপভোগ করতে না পারার আক্ষেপ।”
“তাই কাঁধে কোনো (প্রত্যাশার) ভার নেই। দলের নাম ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল হলে এভাবে খেলা কঠিন, কারণ তাদের ওপর চাপ থাকে, কারণ মানুষ জয়ের প্রত্যাশা করে। আমাদের একমাত্র কাজ ছিল, জর্জিয়ানরা যেন তাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করতে পারে। আর আমি মনে করি, আমরা এটা সর্বোত্তম উপায়ে করেছি।”
শেষ ষোলোয় আগামী রোববার স্পেনের মুখোমুখি হবে জর্জিয়া।