আফ্রিকান নেশন্স কাপ জেতা দলের বেশিরভাগ সদস্যকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রেখেছেন সেনেগাল কোচ আলিয়ু সিসে।
Published : 11 Nov 2022, 06:54 PM
সাদিও মানেকে নিয়ে শঙ্কা কাটেনি এখনও। তবুও চোট পাওয়া এই ফরোয়ার্ডকে সেনেগালের বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন কোচ আলিয়ু সিসে।
সেনেগালের রাজধানী দাকারে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেন সিসে। আফ্রিকান নেশন্স কাপ জেতা দলের বেশিরভাগ সদস্যকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন তিনি।
৩০ বছর বয়সী মানে সেনেগাল দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সবশেষ আফ্রিকা নেশন্স কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারের তার গোলেই মিশরের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জেতে দলটি।
মাস দুয়েক পরে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের প্লে-অফের ফিরতি লেগে মিশরকে হারিয়েই বিশ্বকাপের টিকেট পায় সেনেগাল। এবারও সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এখানেও ৩-১ ব্যবধানে জয়ে দলের শেষ গোলটি করেন মানে।
কিন্তু বিশ্বকাপে তাকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। গত মঙ্গলবার বুন্ডেসলিগায় ভার্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ৬-১ গোলে জয়ের পঞ্চদশ মিনিটে হাঁটুতে চোটে পান মানে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সাইডলাইনে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজ পায়ে উঠে দাঁড়ালেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
পরদিন অবশ্য বায়ার্ন সহকারী কোচ ডিনো টপমোলের জানান, মানের চোট গুরুতর নয়। যদিও শালকের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে তাকে পাবে না বায়ার্ন।
বিশ্বকাপে মানেকে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সেনেগাল কোচ সিসে। এই ফুটবলারের চোট অবস্থা যাচাই করতে বৃহস্পতিবার নিজেদের চিকিৎসক পাঠিয়েছিল সেনেগাল। সিসে জানান, তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কথাই শোনা গেছে। কোনো অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হবে না মানের।
গত জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের আগে চোটে পড়েছিলেন সেনেগালের ওয়াটফোর্ড ফরোয়ার্ড ইসমাইলা সার। তবুও তাকে দলে রেখেছিলেন কোচ। প্রথম রাউন্ডের পর তিনি সেরে ওঠেন এবং দলের শিরোপা জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মানের ক্ষেত্রে সিসে টানলেন সেই উদাহরণ।
সেনেগাল বিশ্বকাপ দল:
গোলরক্ষক: সেনি দিয়েং (রেঞ্জার্স), আলফ্রেদ গোমিজ (রেন), এদুয়ার্দো মঁদি (চেলসি)
ডিফেন্ডার: ফোদে বালো তুরে (মিলান), পাপে আবু সিসে (অলিম্পায়াকোস), আবদু দিয়ালো (লাইপজিগ), ইসমাইল জেকবস (মোনাকো), কালিদু কলিবালি (চেলসি), ফোরমোস মঁদি (আমিন্স), ইউসুফ সাবালি (রিয়াল বেতিস)
মিডফিল্ডার: পাত ইসমায়েল সিস (ভাইয়েকানো), ক্রেপিন দিয়াতা (মোনাকো), ইদ্রিসা গানা গেই (এভারটন), পাপে গেই (মার্সেই) শেকু কুইয়াত (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), মামদো লউম (রিডিং), নাম্পালিস মঁদি (লেস্টার সিটি), মুস্তফা নেইম (পাফোস), পাপে মাতার সার (টটেনহ্যাম হটস্পার)
ফরোয়ার্ড: বোলায়ে দিয়া (সালেরনিতানা), ফামাহা ডিডিউ (আলানিয়াস্পোর), বাম্বা দিয়েং (মার্সেই), নিকোলাস জ্যাকসন (ভিয়ারিয়াল), সাদিও মানে (বায়ার্ন মিউনিখ), এলিমানে এনদিয়াই (শেফিল্ড ইউনাইটেড), ইসমাইলা সার (ওয়াটফোর্ড)