বাবার বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত এডিসি লাবনী

বৃহস্পতিবার রাতে এ পুলিশ কর্মকর্তাকে দাফন করা হয়।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2022, 04:28 AM
Updated : 22 July 2022, 04:28 AM

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় নানাবাড়িতে ‘গলায় ফাঁস নেওয়া’ খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি লাবনী আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একই উপজেলার রালিদহ গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে ৩৬ বছর বয়সী এ পুলিশ কর্মকর্তাকে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে লাবনীর লাশ উদ্ধার করা হয়; কাছাকাছি সময়ে মাগুরা সদরে পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের চার তলার ছাদে পাওয়া যায় ২৫ বছর বয়সী কনস্টেবল মাহামুদুলের গুলিবিদ্ধ লাশ।

লাবনীর ছোট ভাই হাসনাতুল আজম প্রিন্স বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাবনীর লাশ প্রথমে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সারঙ্গদিয়া গ্রামে নেওয়া হয়।

সেখানে গোসল শেষে রাত ৮টায় বরালিদহ গ্রামে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ১০টায় বরালিদহ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা।

কনস্টেবল মাহামুদুল সরকারি রাইফেল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে ঘটনার পর মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদরের এজাজুল হকের ছেলে মাহমুদুল আগে ছিলেন খুলনা মহানগর পুলিশে। দেড় মাস আগে তিনি বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন। মাহমুদুল খুলনায় এডিসি লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

লাবনীর শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর শহরে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সহকারী পরিচালক (এডি)।

তারেক চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন বলে লাবনীর দুলাভাই হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

এদিকে লাবনীর বাবা শফিকুল আজমের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে তার মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে স্বামীর সঙ্গে কি নিয়ে সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে মেলেনি।