প্রবারণা পূর্ণিমার পর থেকে বিভিন্ন বিহারে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়।
Published : 09 Oct 2022, 09:35 PM
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বিহারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করছেন। এরই অংশ হিসেবে চেঙ্গী নদীতে রি-ছিম বা কল্পজাহাজ ভাসানো হয়েছে।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। প্রবারণা পূর্ণিমাকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির প্রতিটি বৌদ্ধবিহার সাজানো হয়েছে নানান রঙে।
খাগড়াছড়ির জেলা সদরের প্রাচীন য়ংড বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষ্যেমাচর মহাথেরো বলেন, ”প্রবারণা উপলক্ষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে বুদ্ধ পতাকা উদ্বোধন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুলপূজা, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধ মূর্তিদান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান করা হয়।“
এ সময় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদানসহ নানাবিধ দান করেন ভক্তরা।
এ ছাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী উপাসক-উপাসিকাদের উদ্দেশে পঞ্চশীল ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন। বিকালে অরহৎ উপগুপ্ত মহাথেরোর উদ্দেশে চেঙ্গী নদীতে রি-ছিমি বা কল্পজাহাজ ভাসানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় বৌদ্ধবিহারে হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। আকাশে উড়ানো হয় নানা আকারের ফানুস।
প্রবারণা পূর্ণিমার পর থেকে বিভিন্ন বিহারে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়।