বিচারক মাহমুদা সুলতানা তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে আদালত পুলিশের এসআই ইস্কান্দার আলী জানান।
Published : 06 Feb 2024, 09:18 PM
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চর থেকে এক যুবকের আট টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
তারা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি ব্লকের আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯) এবং আড়ুয়াপাড়া হরিবাসর মোড়ের মিলন সেখের ছেলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এস কে সাজীব (২৪)।
মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সাজু মোহন সাহা দুই আসামিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা সুলতানা তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত পুলিশের এসআই ইস্কান্দার আলী জানান।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মার চরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৭ বছর বয়সী মিলনের খণ্ড খণ্ড দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার মা শেফালী খাতুন শনিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন।
কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) ও হাউজিং এষ্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. সজল ইসলামকে (১৯) সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক মাহমুদা সুলতানা ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে আদালত পুলিশের এসআই ইস্কান্দার জানান।
এর আগে রোববার সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামাণিকের ছেলে, হাটশহরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক জনি আহমেদ (১৯) এবং কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩) একই আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার থেকে মিলন নিখোঁজ ছিলেন। তার স্ত্রী মিমি খাতুনের করা সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী সজল ও সজীবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে পলিথিনে মোড়ানো মিলনের খণ্ড খণ্ড লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মিমির ভাষ্য, মিলনের ব্যবসার অংশীদার সজল বুধবার সকালে তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। সজলই মিলনকে হত্যা করেছেন বলে তার ধারণা।
পুলিশ বলছে, সজীব, জনি ও সজল নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত সজীবের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।