পাশাপাশি সরকারি ফান্ড থেকে নিহত রুবেলের পরিবারকে আরও পাঁচ লাখ দেওয়া হবে ।
Published : 12 Dec 2023, 11:35 AM
বাসচাপায় নিহত রুবেল পারভেজের পরিবারকে আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় সেলফি পরিবহনের আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে ১৫টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সেলফি পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালউদ্দিন।
ক্ষতিপূরণের আট লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুবেলের ছোট ভাই ও শ্যালকের কাছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি।
পাশাপাশি সরকারি ফান্ড থেকে নিহত রুবেলের পরিবারকে আরও পাঁচ লাখ দেওয়া হবে বলে জানান এই শিক্ষক।
তিনি বলেন, "সোমবার সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সেলফি পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং আমার উপস্থিতিতে আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে মীমাংসা হয়। সেই টাকা নিহত রুবেলের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
সেলফি পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালউদ্দিন বলেন, "আমরা আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেছি। নিহত রুবেলের বাচ্চার ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছি।"
বিষয়টি জানতে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রুবেল পারভেজ।
এ সময় সেলফী পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে একটি বাস সেখানে অপেক্ষারত তিনজনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রুবেলসহ দুজন নিহত হন।
রুবেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১০-১১ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মোকছেদ আলীর ছেলে ও ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
রুবেল নিহতের প্রতিবাদে ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ওই দিনই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করে।
পরে শুক্রবার দুপুরে সেলফি পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং বাসটির রুট পারমিট বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
সেদিন আরও পাঁচটিসহ সেলফি পরিবহনের মোট ২৫টি বাস আটক করেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে এ নিয়ে সেলফি পরিবহন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মিলে দুই দফা আলোচনা করেও কোনো সমাধানে পৌছাতে পারেনি।
শুরুতে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল পরিবহন মালিকপক্ষ। শিক্ষার্থীরা সেটা মেনে নেয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ।
তবে মালিকপক্ষের অনুরোধে ১০টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। আটকে রাখা ছিল ১৫টি বাস। সোমবার মিমাংসা হওয়ার পর রাত ১০টার দিকে সেগুলোও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরানো খবর
রুবেলের মৃত্যু: জাবিতে ৪ দিন ধরে আটক ১৫ বাস
জাবির সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল নিহতের ঘটনায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন