গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর মধুমতি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
Published : 10 Nov 2022, 02:36 PM
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতুর উদ্বোধনের পর এক মাসে ১ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, গত ১১ অক্টোবর রাত ১২টা ১মিনিট থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই টোল আদায় করা হয়।
গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধনের পর মধুমতি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ওই দিন রাত ১২টা ১মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। এই সেতু দিয়ে ঢাকা-কলকাতা রুটের বাসসহ স্থানীয় পরিবহন চলাচল করছে ।
টোল প্লাজার ৮টি বুথের মধ্যে ৫টি বুথ চালু হয়েছে। যানবাহন চলাচল শুরুর প্রথম এক মাসে ছোটবড় ১ লাখ ৫ হাজার ৪২৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
জাহিদ আরও বলেন, সেতুটি চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কমেছে পথের দুরত্ব। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই মধুমতি নদী পার হওয়ায় খুশি যাত্রী ও চালকেরা।
মধুমতি সেতু পারাপারে বিভিন্ন যানবাহনের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে বড় ট্রেইলারকে ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশন জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল ৫ টাকা হারে টোল দিতে হবে।
নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ২০০৮ সালে নড়াইলের সুলতান মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় কালনা ঘাটে এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি ‘কালনা সেতু’ নামে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে কালনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে সরকার প্রধান নিজে নদীর নামে ‘মধুমতি সেতু’ নামকরণ করেন বলে তার সহকারি প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান।